একজন রাজনীতিবিদ আব্দুল হাকিম চৌধুরী ও সাদা মনের গল্প

প্রকাশিত: ৯:০৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০১৮

একজন রাজনীতিবিদ আব্দুল হাকিম চৌধুরী ও সাদা মনের গল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বর্তমান যুগটা বড়ই যান্ত্রিক। এ যুগে মানুষ বড়ো আত্মকেন্দ্রিক। নিজের জগত নিয়ে ব্যস্ত হওয়ায় অন্যকিছু নিয়ে ভাবার সময় কারোর নেই। মানুষ যেন ভুলে গেছে গীতার সেই অমৃত বানী “যত্র জীব তত্র শিব” অর্থাৎ স্রষ্টার সৃষ্টির মধ্যেই শিব বা সৃষ্টিকর্তা বিরাজমান । আর সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকে ভালবাসলেই স্রষ্টার নৈকট্য লাভ সম্ভব। স্বার্থপর পৃথিবীতে নিজস্বার্থ ছেড়ে নিস্বার্থ হওয়া সাদা মনের মানুষ পাওয়া ভার। কিন্ত এই কঠিন ব্যস্তবতায়ও কিছু মানুষ থাকে যাঁদের জন্যই বোধকরি এবং এগিয়ে যাবার আলো দেখতে পাই। তেমনি একজন হলেন সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের বারবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী।

কিছু না লিখলে বা না দাগ দিলে যেমন সাদা কাগজের মূল্য থাকে না, ঠিক তেমনি ব্যক্তির জীবনে মনুষ্যত্ব কাজ বা গুন প্রকাশ না হলে প্রকৃত মানুষ তাকে বলে কি? আমরা এই কলমে এমন এক মানুষকে তুলে ধরতে চাই যার হৃদয়, কাজ, চেহারা, ব্যক্তিত্ব অতুলনীয়। হৃদয়টা হচ্ছে শিশুতুল্য সহজসরল, স্নেহ-ভালোববাসায় পূর্ণ। স্বার্থ ছাড়া অতি পরিশ্রমী, অসহায়কে সাহায্য দানই হচ্ছে তাঁর কাজ। আর যদি চেহারার কথা বলি, তাহলে বলবো হাজারো লোকের মাঝেও আমি তাঁর মিল পাইনি। সাধারন পোশাক-আশাক পড়েই তিনি একজন সুন্দর ব্যক্তিত্বের অধিকারী। আব্দুল হাকিম চৌধুরী শুধূ আমাদের চোখেই নয়, আরো অনেকের চোখেই তিনি এক সাদা মনের মানুষ।

সম্প্রতি গোয়াইনঘাট থেকে ফিরার পথে গাড়ি না পাওয়া যাত্রীদের নিজের গাড়িতে করে নিয়ে গেলেন, ওই উপজেলা পরিষদের বার বারের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী। তখন যাত্রীরা বলেন সত্যিই গর্বিত আমরা গোয়াইনঘাটবাসী আপনার মত আশ্রয় দাতা পেয়ে খোবই আনন্দিত তারা। তিনি সবসময় মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন এবং গোয়াইন,জৈন্তা ও কোম্পানীগঞ্জের সকল ধরনে সমস্যা সমাধানে সর্বদা মানুষের পাশে থাকেন।

মাজসেবায় তার ধারাবাহিক ব্যাপ্তি ঘটলে ১৯৮৮ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সেই তিনি ৭ নং নন্দিরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দিতা করে ইউনিয়নবাসীর নজরে আসেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯২ সালে বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে নন্দিরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ট হওয়ার পর তৎকালীন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ হক ও গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক ওসমান গণির সু-যোগ্য নেতৃত্বে আব্দুল হাকিম চৌধুরী সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী প্রয়াত এম সাইফুর রহমানকে সালুটিকরস্থ রাইখাল ব্রীজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিয়ে আসেন। যা ছিল এম সাইফুর রহমানের সিলেট-৪ আসনে প্রথম সফর। গোয়াইনঘাটের পাশাপশি সিলেট জেলা বিএনপির রাজনীতিতেও আব্দুল হাকিম চৌধুরী নিজেকে মেলে ধরেন। নির্বাচিত হন সিলেট জেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে। গোয়াইনঘাটে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের রাজনীতিতে নিজেকে জড়িয়ে আব্দুল হাকিম চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নীতি-আদর্শের প্রতি আকৃষ্ট করে অগনিত অপরাপর রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিএনপিতে যোগদান করান। তিনি বিএনপির একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মী হিসেবে নিজেকে আধিষ্ট রেখে উপজেলার সব ক’টি ইউনিয়নে বিএনপি ও অংগসংগঠনের ব্যাপ্তি ঘটান। সর্বস্তরের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের মনে বিএনপির সহনশীল রাজনৈতিক দর্শন ও মতাদর্শ ছড়িয়ে দেন। একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে তিনি প্রতিটি ইউনিয়নে বিএনপি ও অংগ সংগঠনের মজবুত ভিত্তি গড়ে তুলেন। গোয়াইনঘাটে সব ক’টি ইউনিয়নে আজকে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের এ মজবুত ভিত্তিরও অন্যতম কারিগর তিনি। সর্বশেষ গোয়াইনঘাট বিএনপির আহ্বায়ক পদে অধিষ্ট হয়ে সব ক’টি ইউনিয়ন ও গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির সম্মেলন সফল করে মূল ধারার নেতাকর্মীদের দিয়ে উপজেলা কমিটি গঠন করেন। গোয়াইনঘাটের মাটি ও মানুষের সাথে নিবিড় মাতৃ¯েœহ গড়ে উঠায় তিনি দলীয় পরিচয়ের বাইরেও জনসাধারণের সাথে নিজেকে একিভুত করে রেখেছেন। এছাড়াও সমাজসেবায় মনোনিবেশ করে আসা আব্দুল হাকিম চৌধুরী এলাকার অপরাপর সুশীল সমাজের সাথে সম্পৃক্ত থেকে প্রতিষ্ঠা করেন দশগাঁও নওয়াগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যাবধি তিনি উক্ত বিদ্যাপিঠের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করে আছেন। গোয়াইনঘাটের সর্ববৃহত বিদ্যাপিঠ গোয়াইনঘাট বিশ^বিদ্যালয় কলেজসহ উপজেলার সব ক’টি কলেজের দাতা সদস্য হিসেবে শিক্ষা সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন আব্দুল হাকিম চৌধুরী। তিনি দীর্ঘ দিন সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত থাকায় সাংবাদিক ও সংবাদপত্র’র একজন সেবক হিসেবে সবসময় গণমাধ্যম কর্মীদের পাশে দাড়ান। এজন্য উপজেলার গণমাধ্যম কর্মীদের সর্ববৃহত প্রতিষ্ঠান গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবেরও তিনি অন্যতম দাতা সদস্য। গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাব আজকের অবস্থানে আসার পেছনেও রয়েছে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তিনি ২০০৯ সালে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় অবস্থানকালীন স্রোতের বিপরীতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জনসেবা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, ন্যায় বিচার নিশ্চিত করণসহ জবাবদিহিতামূলক উপজেলা পরিষদ গড়ে তুলে জনগনের দৃষ্টি কাড়েন। তিনি ২০১৪ সালে পূণরায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে জনগনের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে স্ব-পদে বহাল রয়েছেন।

দেশব্যাপি শুরু হয়েছে বিএনপির আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৪ আসন থেকে বিএনপির একজন উপযুক্ত, যোগ্যতা সম্পন্ন নেতা আব্দুল হাকিম চৌধুরী। সাংগঠনিক তৎপরতায় এগিয়ে থাকা, উপজেলা ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবীর প্রেক্ষিতে এ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের দৌড়ে অন্যতম দাবীদারও তিনি। আমি বিএনপির একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মী হিসেবে আব্দুল হাকিম চৌধুরীকে আগামাী সংসদ নির্বাচনে সিলেট- ৪ (গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানিগঞ্জ) আসনে বিএনপি তথা ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই। তার জন্য শুভ কামনা রইলো।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..