সিলেট ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:৩৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
জামাল আহমদ :: স্বতন্ত্র শ্রীভূমি সিলেট ইতিহাসের অন্যতম স্মারক সুরমা নদীর ক্বীনব্রীজ। আরেক স্মারক শব্দ হচ্ছে ‘ঠেলা’। ব্রিটিশ ভারতের আসাম প্রদেশের রাণী বলে খ্যাত সিলেটের সুরমার উপর নির্মিত ক্বীনব্রীজটি তৎকালীন প্রাদেশিক ইংরেজ গভর্ণর মাইকেল ক্বীন এর নামে নাম করন করা হয়। আসাম-বেঙ্গল ত্রিপুরার একমাত্র সড়ক সংযোগ ক্বীন ব্রীজের উভয় এপ্রোচ অংশ ঢালু থাকায় রিক্সা ও হাতাগাড়ি পারাপারে অতিরিক্ত ঠেলা শ্রমিকের প্রয়োজন হতো। এসময় গরীব ও দরিদ্র জনগোষ্টির অন্যতম কর্মসংস্থান হয়ে উঠে এই ক্বীনব্রীজ ও ঠেলাশ্রম। ধীরে ধীরে ওই শ্রমিকদের নাম হয়ে যায় ’ঠেলা’।
১৯৩৬ সাল থেকে চলে আসা ঠেলাশ্রম এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে। যেমনটা ব্রীজও রয়েছে তার আসল অবকাঠামোর উপর। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদাররা ব্রীজের উত্তর পারের ঢালুঅংশ ধ্বসিয়ে দিলে পরবর্তিতে তা আবার পুণস্থাপন করা হয়। এসময় পুরো ব্রীজের লোহার পাতের উপর ঢালাই করা সিমেন্ট ও কংক্রিট। ঐতিহাসিক ঠেলাশ্রমে আগেকার যুগে একমাত্র পুরুষরা যোগ দিয়ে থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে সমাজের অবহেলিত নারীরা ও এ শ্রমে যোগ দিয়ে ঠেলাশ্রমকে আরও পূর্ণতা দিয়ে চলেছে।
বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) দৃশ্যমান ছবিটি এর জ্বলন্ত প্রমাণ বহন করছে। আধপাই,কানা পয়সা ও এক আনা থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ে এই ঠেলাশ্রমের মূল্য পাঁচ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। অচিরেই ঠেলার পারিশ্রমিক দশ টাকা পর্যন্ত গড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd