সিলেট ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৩৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সাদিয়া আক্তার তমা। গার্মেন্টের অপারেটর থেকে আজ তিনি পৌঁছে গেছেন বাংলা সিনেমার জগতে। বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয়ও করেছেন তিনি। সম্প্রতি সামনে এসেছে তমার আসল চেহারা। বিয়ে করা এবং তার কিছু দিন পর সেই স্বামীদের নামে মামলা দিয়ে দেন মোহরের টাকা আদায় করাই যার মূল উদ্দেশ্যে।সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুসন্ধানী রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসছে।
তমার দ্বিতীয় স্বামী বলেন, আমরা ২০০৯ সালে বিয়ে করি। কিন্তু ২০১৩ সাল থেকে সে মাঝে মধ্যে উধাও হয়ে যেত। খোঁজ খবর নিয়ে দেখেছি, সে এই পর্যন্ত বিয়ে করেছে ২০টা। আমার বাসার বাড়ির সব কিছু নিয়ে চলে গেছে।তমার আরেক স্বামী বলেন, আমি যখন বিয়ে করেছিলাম তখন জানতাম না সে বিবাহিত। সে আমার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে। সে আমার কাছে টাকা-পয়সা চেয়েছেন।
তমার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে সে ২০টি বিয়ে করেছে। এরই মধ্যে ৬টি বিয়ে নিকাহপত্র সংবাদকর্মীর কাছে এসে পৌঁছেছে। সেই নিকাহ রেজিষ্ট্রিতে নিজেকে কুমারী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।ঢাকা তুরাগের হরিরামপুর ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার কাজী মোশাররফ হোসেন বলেন, ২০১৫ সালে ২৫ মার্চ আমার এখানে বিবাহ হয়েছে। ছেলেটির নাম হলো শামছুজ্জামান সুজন। তাকে তালাক দেওয়ার পর আবার ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিলে বিবাহ তমার। তখন আব্দুর রহমান মিঠুর সাথে বিবাহ হয়। প্রথম বিয়ের দেন মোহর ছিল ২ লক্ষ টাকা। দ্বিতীয় বিয়ের দেনমোহর ছিল ৮ লক্ষ টাকা।
ঢাকা মিরপুর শাহ্ আলী এলাকার নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার মো: নূর হোসেন বলেন, ২০১৪ সালে ১৪ নভেম্বর শামছুজ্জামান সুজনের সাথে কুমারী বলে তমার বিবাহ হয়।এ বিষয়ে তমার সাথে মোবাইলে কথা বলতে চাইলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে কলটি কেটে দেন। পরে মোবাইলটি বন্ধ করে ফেলে। তার সাথে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার দেখা পাওয়া যায়নি। ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার কোনডাঙ্গর গ্রামের মো: নুরুল ইসলামের মেয়ে তমা।
ঢাকা জেলা রেজিষ্ট্রার দ্বীপক কুমার সরকার বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানুষ নানা ধরনের জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। এই রকম প্রতারণার সুযোগ এখানেও থেকে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে, আমাদের দেশে যে বিয়েগুলো হচ্ছে সেই বিয়েগুলো যদি ডাটাবেস করা যায়। তাহলে অনলাইনে ভেরিফেকেশন করতে পারবে। এই জায়গাটা আমরা এখনও ফুলফিল করতে পারিনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd