প্রতক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ঢাকা-সিলেট বাইপাস সড়কের সাউথ সুরমা পাম্প সংলগ্ন লোকমান মিয়ার মার্কেট থেকে একটি পণ্যবাহী ছোট ট্রাক আটক করে পুলিশ। তেরপাল বাঁধা ট্রাকে বার্মিজ জুতার নিচে বিপুল পরিমান পলেথিন, জিরা বা গমর মসলা ছিলো প্রতক্ষদর্শীদের ধারনা। জন সম্মুখে তেরপাল খোলে মালামাল না দেখে তড়িগড়ি করে গাড়ি থানায় নেয়ার অভিযোগ করেন সেখানকার ব্যবসায়িরা।
ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন আরো বলেন, বাংলাদেশ মিডিয়া পত্রিকার স্টিকারযুক্ত কারে সকালে সেখানে উপস্থিত হন পত্রিকার মালিক, সিলেটে পলেথিন আলী হিসেবে পরিচিত আলী হোসেন সরকার। তিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অনেককে ছবি তোলতে বাঁধা প্রদান করেন। সকালে সে সময় তার উপস্থিতি প্রমান করে ট্রাকে অবৈধ মালামাল থাকার বিষয়।
সকাল সাড়ে ৮টায় দক্ষিণ সুরমা থানার এসআই মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, এএসআই জার্নেল রানা তালুকদার, এএসআই মালেকসহ সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক চালক হেলপারসহ থানায় নিয়ে যান। যদিও উপস্থিত জনতার সামনে অবৈধ মালামাল খোলে প্রকাশ্যে জব্দ তালিকা করে কয়েকজনের স্বাক্ষর নেয়ার কথা থাকলেও রহস্যজনক কারণে সে নিয়ম মানা হয়নি।
এ ব্যপারে জার্নেল তালুকদার জানান, অবৈধ পথে আসার কারনে বার্মিজ জুতাবোজাই ট্রাক পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সঠিক কাগজপত্র কেউ নিয়ে আসলে তা দেয়া হবে।
দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ খায়রুল ফজলের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক আটক করা হয়েছে। ট্রাকে পলেথিন বা অন্যকিছু থাকার কথা অস্বীকার করে তিনি আরো বলেন, পাবলিক যে কতো কিছু বলে, জুতাকে পলেথিন বানিয়ে দিয়েছে। কেউ সঠিক কাগজপত্র না দেখালে ট্রাকসহ আটককৃতদের বিরোদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।