মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে খতনা দিতে গিয়ে ডাক্তারের দেওয়া ইনজেকশনে ২০মাস বয়সী শিশু তানভীর আহমদ নিহতের ঘটনায় থানায় অবশেষে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২অক্টোবর) রাতে নিহত শিশুর মার লিলি বেগম বাদি হয়ে বিশ্বনাথ থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ২। মামলায় একমাত্র অভিযুক্ত করা হয়েছে প্যারামেডিক ডাক্তার এম এ রহিম উরফে জয়নাল (৫৫)। সে বিশ্বনাথ উপজেলার বাওনপুর গ্রামের মৃত মরম আলীর পুত্র ও উপজেলার সদরের কলেজ রোডস্থ রহিম মেডিকেল সেন্টার (ফার্মেসী) এর স্বত্তাধিকারী। এদিকে, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ডাক্তার পলাতক রয়েছেন।
প্রস্রাবে সমস্যা দেখা দেওয়ায় খতনা দিতে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম ইউনিয়নের টিলা মাওনপুর গ্রামের
পুত্র শিশু তানভীর আহমদকে নিয়ে তার মা গত ২৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্বনাথ উপজেলার সদরের কলেজ রোডস্থ রহিম মেডিকেল সেন্টার-এ (ফার্মেসী) আসেন। এসময় রহিম মেডিকেল সেন্টারে স্বত্বাধিকারী প্যারামেডিক ডাক্তার এম এ রহিম খতনা করতে তানভীর আহমদের অন্ডকোষে ইনজেকশন (এনেসথেসিয়া) দেওয়ার সাথে সাথে তার (তানভীর) খিঁচুনী উঠে যায় এবং মুখ দিয়ে ফেঁনা বের হতে থাকে। এরপর তানভীরের মা ও সাথে থাকা স্বজনেরা তাকে দ্রুত সিলেট নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানভীরকে মৃত ঘোষণা করেন। তানভীরের মৃত্যু মেনে নিতে না পেরে স্বজনেরা তাকে নিয়ে ইবনে সিনা হাসপাতাল ও পার্কভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। ভূল ইনজেকশনে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে দাবি করে চিকিৎসক এম এ রহিমকে দায়ী করে ওই রাতে শিশু তানভীরের লাশ নিয়ে তার স্বজনেরা বিশ্বনাথ থানায় আসলে পুলিশ লাশের সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরদিন শুক্রবার ময়না তদন্ত শেষে শিশুটির দাফন সম্পন্ন করা হয়। ঘটনার পর বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় একটি মহল। অবশেষে থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত শিশু তানভীরের মা।
মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, আসামীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Sharing is caring!