সিলেট ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:৩৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার: অর্থমন্ত্রীর আদেশকে অমান্য করে সিলেটে মেলার ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সিলেট শহরতলীর বটেশ্বর এলাকায় অন্ধ প্রতিবন্ধি শিল্প পণ্য মেলার নামে চলছে এমন আয়োজন।
চট্টগ্রাম থেকে এসে অন্ধ কল্যাণ সংস্থার নামে সিলেট শহরতলীর বটেশ্বরে মেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মেলা বাবলু খ্যাত মঈন খান বাবলু। সিলেটে মইন খান ‘মেলা বাবলু’ হিসেবে এক নামে পরিচিত। কারণ বছরজুড়েই তিনি নামে বেনামে মেলার আয়োজন করেন। পাশাপাশি এসব মেলায় লটারির নামে কোটি কোটি হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি করা হয়। এবার অন্ধদের নাম ভাঙিয়ে বটেশ^র এলাকায় মেলার আয়োজন চলছে। তাছাড়া সিলেটে অন্ধ কল্যাণ নামের কোনো সোসাইটির অস্তিত্বই নেই।
গত ৩০ আগস্ট থেকে চলে আসছে মেলাঙ্গনে প্যাভিলিয়ন তৈরীর কাজ। তবে বটেশ্বর এ মেলায় প্রশাসনসহ উর্ধ্বতন মহলের কোন অনুমতি ছিল না। তাই প্রশাসন মেলার কার্যক্রম স্থগিত ও স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। প্রশাসন মেলার স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এ ব্যাপারে সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজাম মুনিরা বলেন, অবৈধ মেলার স্থাপনের খবর পাওয়া মাত্র শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতার হোসেন কে নির্দেশ দিয়েছিলাম, কোন ভাবে যেন অবৈধ এ মেলার স্থাপনা করা না হয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মেলার স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য বলেছি।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদ বলেন, বাণিজ্য মেলা সাধারণত আন্তর্জাতিক ও দেশের ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করে। তাদের উৎসাহ দিয়ে মেলার আয়োজন করা হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের নির্দেশনা অনুযায়ী সিলেটে মেলা হবে একটি। যেটার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এর বাইরে কোন মেলায় অনুমোদন দেয়নি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যদি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না দিয়ে কেউ মেলা করে সেটা প্রশাসন দেখবে। এর বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে।
সিলেটে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আয়োজক কমিটির আহŸায়ক মুশফিক জায়গীরদার বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুযায়ী যে এলাকায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা হবে সে এলাকায় অন্য কোন মেলা হবে না। কিন্তু সিলেটের কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন নাম নিয়ে সিলেটে মেলার আয়োজন করে। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। জেলা প্রশাসন সহ উর্ধ্বতন কর্তপক্ষ মিলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।
এ ব্যাপারে মঈন খান বাবলুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অন্ধ কল্যাণ সংস্থার নামে মেলার অনুমোদনের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবের আবেদন করা হয়েছে। বর্তমানে সেটা প্রক্রিয়াধীন আছে। মেলার অনুমতি না নিয়েও বটেশ্বরে স্থাপনা করা হয়েছে কিন্তু এখনও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছেনা কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন স্পষ্ঠ কিছু বলেননি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সন্দীপ কুমার সিংহ বলেন, তারা অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু আমরা অনুমোদন দেইনি। তারা যদি অবৈধভাবে মেলার আয়োজন করে থাকে, তাহলে এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খাদিমপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট আফছর আহমদ বলেন, মেলার অনুমোদন না থাকলে ইউনিয়ন পরিষদে এ মেলা করতে দেবেনা। জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনুরোধ করব, মেলার অনুমোদন না থাকলে তা যেন বন্ধ করা হয়। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অনেক সমস্যা হয় এবং যাদের নামে মেলা করা হয় তাদের কাছে এ টাকা পৌছে কিনা তা সন্দেহ আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd