সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:২৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোনো ধরনের কাটাছেঁড়া ছাড়াই এক কিশোরের ফুসফুস (Right middle lobar bronchus) থেকে বোর্ড পিন বের করে এনেছেন চিকিৎসকরা। ব্রঙ্কোসকপির মাধ্যমে রোববার দুপুরে পিনটি বের করে আনতে সক্ষম হন তারা।
ওসমানী মেডিকেলের নাক, কান, গলা ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. নুরুল হুদা নাঈমের নেতৃত্বে এই অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। টিমের অন্য সদস্য হলেন: নাক-কান-গলা বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী ও রেসিডেন্ট ডা. মঞ্জুরুল হাসান মঞ্জু। অ্যানেস্থিসিয়ার দায়িত্বে ছিলেন ডা. পলাশ দে, ডা. সর্বানী ও ডা. রামানুজ।
হাসপাতাল সূত্রকে উদ্ধৃত করে আমাদের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার রায়পুরের হামদু মিয়ার ছেলে আলী আহমদ (১৫) প্রায় ছয় মাস আগে বোর্ড পিন দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করছিলেন। এক পর্যায়ে অসতর্কতাবশত পিনটি তার গলার ভেতরে চলে যায়। এটি খাদ্যনালীতে না ঢুকে তার শ্বাসনালীতে ঢুকে পড়ে। এরপর কণ্ঠনালী অতিক্রম করে ডান ফুসফুসে (Right middle lobar bronchus) গিয়ে আটকে যায় পিনটি।
আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে ফুসফুস থেকে বোর্ড পিনটি বের করে আনতে অপারেশন করাতে পারছিল না তার পরিবার।
প্রায় সপ্তাহখানেক আগে আলী আহমদকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু এ হাসপাতালেও ছিল না কাটাছেঁড়া ছাড়া অপারেশন তথা ব্রঙ্কোসকপি করার কোনোও যন্ত্রপাতি। পরে হাসপাতালের নাক, কান, গলা ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. নুরুল হুদা নাঈম তাঁর নিজস্ব যন্ত্রপাতি এনে ব্রঙ্কোসকপির মাধ্যমে আলী আহমদের ফুসফুস থেকে বোর্ড পিনটি বের করেন।
ওসমানীর নাক-কান-গলা বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আলী আহমদকে অজ্ঞান করে কোনো ধরনের কাটাছেঁড়া ছাড়াই ব্রঙ্কোসকপির মাধ্যমে তার ফুসফুস থেকে বোর্ড পিনটি বের করে আনতে সক্ষম হয়েছি আমরা। ’
বিষয়টি খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল বলেও মন্তব্য করে তিনি জানিয়েছেন, আলী আহমদ বর্তমানে সুস্থ আছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd