সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৫৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : প্রথম বিয়ে বিচ্ছেদের পর এ বছরের শুরুতে সানাউল্লাহ নূরে সাগর নামে একজনকে বিয়ে করেছিলেন ক্লোজআপ ওয়ান খ্যাত মৌসুমী আকতার সালমা। বিয়ের তিন মাস পর জানা গেল, সালমার বর্তমান স্বামী সাগর আগেও একটি বিয়ে করেছিলেন। তবে সালমাকে বিয়ে কথা জানতেন না সানাউল্লাহ নূরের প্রথম স্ত্রী।
প্রথম স্ত্রীর পরিবার জানায়, গত ৭ অক্টোবর সাগর লন্ডন যায়। সেদিন সাগর ও তার প্রথম স্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সাগরকে বিদায় জানায় তারা। লন্ডনে পৌঁছার পর সাগর নিজে থেকে যোগাযোগ করেনি। তার খবর জানতে ফোন করা হলে খারাপ ব্যবহার করত। কথাবার্তাও সন্দেহজনক মনে হয়। আস্তে আস্তে সম্পর্ক খুব বাজে আকার ধারণ করে। বাধ্য হয়েই গত বছরের ১৯ নভেম্বর কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ মামলা করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সালমা বলেন, ‘আমার স্বামীর অতীত নিয়ে আমি কখনো ঘাটিনি। এটা ঠিক, আমি তার আরেকটা স্ত্রী থাকার কথাও জানতাম। তবে ও বলেছে ওদের ৪ বছর আগেই ডিভোর্স হয়েছে। সবকিছু জেনেই আমি তাকে বিয়ে করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ সন্ধ্যার পর থেকে আমার কাছে ফোন আসছে ব্যাপারটি নিয়ে। আমি আমার স্বামীর সঙ্গেও কথা বলেছি। বিষয়টি আমাদের দুই পরিবারই জানে। যে মামলা করা হয়েছে সেটা আসলে ষড়যন্ত্রমূলক। তা না হলে কেন ডিভোর্সের এত বছর পর নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা করবে?। আমার এবং স্বামীর ওপর ঈর্ষাকাতর হয়েই এবং আমাদের থেকে অবৈধভাবে টাকা হাতানোর জন্যই তারা মামলা করেছে বলে আমি মনে করি’
মামলার বিবরণীতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৩ জুন সানাউল্লাহ নূরে সাগরের সঙ্গে ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ও কক্সবাজারের মেয়ের বিশ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে হয়। ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে বিয়ের পর থেকে নানাভাবে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন সাগর। শারীরিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। মেয়ের কথা চিন্তা করে সাগরকে তিন কিস্তিতে দশ লাখ দেন। সেই টাকায় সানাউল্লাহ নূরে সাগর যুক্তরাজ্যে ‘বার অ্যাট ল’ পড়তে যান। এর মধ্যে বাংলাদেশে এসে কাউকে না জানিয়ে সাগর ক্লোজআপ তারকা সালমাকে গোপনে বিয়ে করেন এবং নিজেকে অবিবাহিত দাবি করেন।
সালমার স্বামী সানাউল্লাহ নূরে সাগরের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা নম্বর ২৫৪। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১১ (গ), ১১ (গ)/৩০ ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় সালমার দ্বিতীয় স্বামী সানাউল্লাহ নূরে ও তার বাবা-মাকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিদের গ্রেফতারের জন্য ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা পাঠিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম মাহমুদুর রহমান। তবে গ্রেফতারি পরোয়ানা এখনো পৌঁছেনি বলে জানিয়েছেন হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার।
তিনি বলেন, মামলা হয়েছে শুনেছি। তবে আমি এখনো গ্রেফতারি পরোয়ানা হাতে পায়নি। পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd