সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৫৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০১৯
সুমন আহমদ :: সিলেটের দক্ষিণ সুরমার জহির-তাহির মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক অরবিন্দ ভট্টাচার্যকে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে রোববার সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের শিববাড়িতে বিক্ষোভ করেছে বিদ্যালয়টির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
এসময় সহকারি প্রধান শিক্ষক অরবিন্দ ভট্টাচার্যকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ারও দাবি জানায় তারা।
রবিবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানবন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও অভিভাবকরাও অংশ নেন। এসময় সিলেট ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের দুপাশে দেখা দেয় যানজট।
মানববন্ধন শেষে উপস্থিত সবাই সহকারি প্রধান শিক্ষক অরবিন্দ ভট্টাচার্য লাঞ্চনাকারিদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিদ্যালয়ে যান। সেখানে গিয়ে দাবি সম্বলিত একটি লিখিতপত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছে দাখিল করা হয়।
দাবিগুলো হচ্ছে- সকল ষড়যন্ত্র ভেঙে অরবিন্দ ভট্টাচর্যকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান। তদন্তের মাধ্যমে লাঞ্চনাকারীদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি ও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া। হামলার শিকার দুই শিক্ষার্থীর যাবতীয় চিকিৎসার খরচ বহন করতে হবে। এছাড়াও অভিভাবক সদস্য ছয়েফ খান ও বিদ্যালয়ের খন্ডকালিন শিক্ষক শমসের সিরাজ সুহেলেকে সার্বিক দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা।
মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, একজন মানুষ গড়ার কারিগরকে এভাবে লাঞ্চনা করার ঘটনায় প্রতিয়মান হয় বিদ্যালয়কে ধ্বংস করার জন্য একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ফেঞ্চুগঞ্জের একটি স্কুলের শিক্ষককে ঐতিহ্যবাহী জহির-তাহির বিদ্যালয়ে বসানোর পায়তারা শুরু হয়েছে। এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এছাড়াও অরবিন্দ স্যারের প্রতি সম্মান জানিয়ে যখন শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করে তখনও আওয়ামী লীগ নেতা ছয়েফ খান ও বিদ্যালয়ের খন্ডকালিন শিক্ষক শমসের সিরাজ সুহেল পরিকল্পিতভাবে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালান। এসময় বিদ্যালয়ের ৭ম ও ১০ম শ্রেণীর দুই শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে আহত হন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd