সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৩৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১, ২০১৯
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়-ও বিতরণ বিভাগ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, হবিগঞ্জ এ বিদ্যুৎ অফিসে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ রিডিং দেখিয়ে নানান ধরণের ব্যবসার তালবাহানার ও সরকারের নামে জনগণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উমেদনগরের জনগণের। অনেকেই এ বিষয় নিয়ে দরখাস্ত থানায় জিডি করেও এর কিছুই করতে পারেননি বলে জানান হবিগঞ্জের জনগণ।
শধু তাই নয় গত রবিবার হবিগঞ্জের বিদ্যুৎ অফিসের ভিতরে গিয়ে হবিগঞ্জে অবস্থি উমেদনগর গ্রামের লোকজন দলবল নিয়ে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করেন পরে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা মো: জামাল সাহেব অই এলাকার বিদ্যুৎ রিডিং ইউনিটের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত লোক । জামাল এর নিকট যখন লোকজন জিঙ্গেস করেন যে এত বিল বেশি কেন আসে তখন জামাল বলেন বিদ্যুৎ বেশি ব্যবহার করছেন বিধায় বিল বেশি আসে পরে উমেদনগরের গ্রামের একেকজন একেক প্রশ্ন নিয়ে হজির হওয়া শুরু করেন। পরে হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা জামাল জানান আমাদের লোক যা মিটার দেখে লিখে নিয়ে আসেন আমার তাই দেই কিন্তু অই উমেদনগর এলাকার জনগন বলছেন বিদ্যুৎ অফিসের কোন কর্মকর্তা নাকি কখনো তাদের বাড়িতে যান না। তারা নিজ ইচ্ছায় মিটার এর রিডিং লিখে দেন আর ইচ্ছামত মনগরা কথা বলছেন পরে বিদ্যুৎ কর্মকর্তা জামালকে উমেদনগর গ্রামের একজন মুরুব্বী প্রশ্ন করেন যে, আপনারা মিটার এ ইউনিট একরকম আর বিদ্যুৎ বিলে আর একরকম কেন। তখন তিনি বলেন আমার নিজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার চেক করি আর মিটার যা দেয় তা আমরা লিখে আনি এই কথা বলার পর অই গ্রামের মুরুব্বী জনাব মো: কুতুব উদ্দিন বলে উঠেন কখন যান আপনারা কেন মিথ্যা বলছেন পরে উনার সাথে থাকা লোকজনসহ সবাই বিরক্ত হয়ে উঠেন পরে অনেকে অনেক প্রশ্ন সহ জামালের কাছে উত্তর চান তখন জামাল শ্বিকার করেন উনি নাকি অনুমান করে বিদ্যুৎ বিল লিখেন অতচ জামাল আগে বলেছিলেন যে উনি নাকি লোক পাঠান কিন্তু এখন বলছেন আর এক কথা। পরে লোকজন যখন জামালকে জিঙ্গাসাবাদ শুরু করে তখন বিদ্যুৎ অফিসের কর্মরত জামাল বলেন আপনারা আমাকে জিঙ্গেস না করে অফিসরে প্রধান যিনি নির্বাহী প্রকৌশলী থাকে জিঙ্গেস করেন কেন মিটার আর বিল এর মধ্যে এত গড়মিল তারপর লোকজন জিঙ্গেস করেন যে কোথায় পাবেন সেই প্রকৌশলী কর্মকর্তাকে তখন বিদ্যুৎ অফিসের জামাল বলেন আপনার ২০২ নম্বর কক্ষে যোগাযোগ করেন পরে লোকজন ২০২ কক্ষে যান গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ পরে ডাকাডাকি করে তাদের কোন সন্ধান মিলেনি তারপর এলাকার লোকজন দরজায় ধাক্কা দেন পরে দেখেন যে ভিতরে বসে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মর্তারা আড্ডা দিচ্ছেন পরে অই এলাকার লোকজন বলছেন তারা এত সময় ধরে এখানে এত বিড় তারপরও আপনারা বলতে পারেন না কিছুই পরে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা নির্বাহী প্রকৌশলী এ/সি কে জনগণ প্রশ্ন করেন জবাবে তিনি বলেন যে, এটার নাকি কোন অভিযোগ নেই পরে সাধারণ জনগন সবাই এক এক করে কাগজপত্র সহ হাতে নাতে নিয়ে দেখানো শুরু করেন পরে নির্বাহী প্রকৌশলী এ/সি বলেন আপনারা দরখাস্ত দিন ও আপনাদের সমস্যা আমাদের লিখে দিন আমরা এটা দেখবো পরে এলাকার লোকজন বলেন এর আগে অনেক দরখাস্ত করেছি কিন্তু কোন উত্তর পাইনি উমেদনগর গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বী জনাব মো: কুতুব মিয়া বলেন আমার দরখাস্তা আজ থেকে ৬ মাস আগে করেছি কিন্তু কোন উত্তর পাইনি এই ৬ মাস ধরে প্রতিদিন আসা যাওয়া করি কিন্তু কেউই এই বিষয়ে কোন উত্তর দিচ্ছেন না বরং একজন আর একজনকে দেখিয়ে দিচ্ছেন কুতুব মিয়া জানান কেন এত হয়রান মানুষকে করছেন আপনারা তখন এলাকার তৌহিদ মিয়া, আম্বার আলী, মতিন মিয়া, সাগর মিয়া, খানাই মিয়া মজিদ মিয়া, শহিদ মিয়া, মনির হোসেন, উজ্জল মিয়া, রবিন দাস, খলিল মিয়া, মোতাহির মিয়া, রাজন, সৈকত দাশ, রনি মিয়া, কামাল মিয়া, মানিক মিয়া, শহিদ মিয়া,এংরাজ মিয়া, মধু মিয়া, শাহাব উদিন, আলী আজগর, আল আমিন, মাসুম, তুষার হোসেন, ফারুখ মিয়া, খলিল মিয়া জানু চৌধুরী বিপল্ব দাশ, রানী দাশ, মনি বেগম, আছিয়া বেগম, হোসনে আরা, খাইরুন নেছা, আম্বিয়া বিবি, মারুফা বেগম, আকি আক্তার, দুলাল, মানিক মিয়া, সহ আরো অনেকে অভিযোগ প্রমানপ্রত্রসহ তুলে ধরেন। উমেদনগর গ্রামের জনাব কুতুব মিয়া জানান উনার বাবা থাকা অবস্থায় সমস্ত বিল পরিশোধ করেন এবং সমস্ত ডুকোমেন্ট সহ তিনি তার ঘরে রেখে মারা যান কুতুব মিয়ার বাবা। মারা যাওয়ার বছর খানেক পরে হঠাৎ করে কুতুব মিয়াকে বিল দিয়ে দেন প্রায় ৮৫৪৮৬/- (পছাশি হাজার চারশত চিয়াশি টাকা) এ কথা শুনে তিনি অবাক হন আর বলেন বাবা কি বিল দেন নাই পরে তিনি চিন্তিত হন আর বাড়িতে চলে আসেন পরে বাড়িতে এসে কুতুব মিয়া বাড়ির সমস্ত কাগজ খোজাখুজি শুরু করেন। পরে তিনি দেখেন ঘরের এক কোণে রাখা এক গান্টির ভিতরে থাকা অনেক কাগজের ভিতরে বিদ্যুৎ বিলের অনেক কাগজপত্র পরে তিনি সবগুলো কাগজ চেক করেন দেখেন পরো ১২ মাসে বিল এই পরিশোধ এর সকল কাগজপত্র তখন তিনি এই কাগজ নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে যান আর রতিন্দ্র কে দেখান পরে রতিন্দ্র বলে যে সে কিছুই জানে না। সে একজন মাষ্টার রোলে চাকুরী করেন বিদ্যুৎ অফিসে তখন কুতুব মিয়া তার কাছে বলেন কি করব এখন এত টাকার বিল আসল আমায় কিছু পরামর্শ দাও তোমরা বলছিলে যে, আমার বাবা বিল পরিশোধ করেন নাই কিন্তু এখন দেখছি সব বিল পরিশোধের কপি আমার কাছে আছে এটা নিয়ে কি করা যায়। বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা রথিন্দ্র বলেন আপনি অফিসে যোগাযোগ করুন। পরে কুতুব উদ্দিন অফিসে গেলে সকল প্রমানপ্রত নিয়ে থাবে বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা একেক জন এককে ভাবে বুঝায় আর তিনি হয়রাণীর শ্বিকার হন। পরে কুতুব মিয়া বলেন আপনারা বলেছেন যে আমার বিল আমার বাবা পরিশোধ করেন নাই এখন দেখুন তার প্রমাণ আমি এনেছি। পরে কতুব মিয়াকে বলেন অফিসের কর্মকর্তারা যে উনাকে একটি দরখাস্ত দেওয়ার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়-ও বিতরণ বিভাগ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এর বরাবর, পরে তিনি কুতুব মিয়া তাদের কথামত একটি দরখাস্ত দেন নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়-ও বিতরণ বিভাগ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এ তখন উনাকে বলে যে মাস খানেক পরে যোগাযোগ করেন পরে তিনি একমাস বাদে আসেন আসার পর কেউ বলছেন আপনার বিল আসার কারন হল ডিজিটাল মিটার খুলে রিচার্জ মিটার লাগান না হয় এভাবেই বিল আসতেই থাকবে পরে তিনি বলেন আমার তো রিচার্জ মিটার লাগানোই আপনারদের অফিসের কর্মরত রথিন্দ্র উনি আমার মিটার লাগিয়ে দিলেন তা হলে কেন বিল আসবে এত বেশি। তারপর তিনি কারো কাছ থেকে কোন উত্তর পাননি বরং অনেক ভোগান্তিতে ভূক্তে হলো উনাকে পরে তিনি মামলা করবেন বলে একটি সিন্ধান্ত নেন। পরে এলাকার মানুষদেরকে নিয়ে একটি বৈঠক করেন বৈঠকে সকলে এক হয়ে সকলের অভিযোগ তোলে ধরেন পরে তারা সাবাই মিলে সব সমস্যা ও প্রমান সহকারে সবাই বিদ্যুৎ অফিসের বিতরে আসেন পরে এসে দেখেন অনেকে অনেক বলছে আর বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা বিভিন্ন তালবাহানা করছেন কেউ পাঠাচ্ছেন ২০২ কক্ষে আবার কেউ বলছেন ১০৭ নাম্বার কক্ষে আবার কেউ বলছেন নিছে যান। অসহায় গরীব দু:খি মানুষের হয়রাণীর শিকার হন। হবিগঞ্জে উমেদনগর গ্রামের মানুষের একটাই দাবী সরকার জেন তাদের একটু এই বিষয়ে নজর দেন সরকারের নাম করে তারা গরীব দু:খী মানুসের টাকা আতœসাধ করছেন বলে অভিযোগ এলাকার জনগেণের।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd