সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:১৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩, ২০১৯
ক্রাইম প্রতিবেদক :: সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নুরপুর গ্রামের নমরুজ আলীর ছেলে আনসার সদস্য আজমল আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি মূলত একজন আনসার সদস্য কিন্তু পরিচয় দিয়ে থাকেন আনসার মনিটরিং ও উপজেলা আনসার কমান্ডার।
সে এই পরিচয় দিয়ে এলাকার সহজ সরল আনসার সদস্যদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আজমল আলী ভি.ডি.পি সদস্যদের নিযোগ দেওয়ার আগে দুই হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিতেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকুরি থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে এবং আনসার ভি.ডি.পির কালো তালিকায় তার নাম লিপিবদ্ধ করা হয়েছে বলে সূত্রে প্রকাশ। অভিযোগে আরও প্রকাশ, রোগীদের জন্য হাসপাতাল কম্পাউন্ডে থাকা টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে বাধা সৃষ্টি করতেন তিনি। এমন কি আনসার ভি.ডি.পির মহিলা সদস্য ও রোগীদের সাথে থাকা নারী এটেন্ডেন্টদেরকেও নানাভাবে উত্যক্ত ও হয়রানি করতেন তিনি।
জানা যায়, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আনসার ও ভি.ডি.পি কার্যালয় উনার বাড়ীর পাশে হওয়ার সুবাদে তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। একের পর এক আনসার সদস্যদের ধোকা দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তার এই দুনীতি।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা একজন মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়লী বেগমের কাছ থেকে সরকারি খাস ভূমি দেওয়ার নাম করে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা আনসার সদস্যরা জানান, উপজেলার ৪নং উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আনসার সদস্যদের একটি সংগঠন রয়েছে ওই সংগঠনের নামে সরকারি খাস ভূমি দেওয়ার নাম করে প্রতি মাসে মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন আজমল আলী।
চাকুরিচ্যুত হওয়ার পর থেকে কিপ্ত আজমল আলী উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তাসহ অন্যান্য সদস্যদের নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। ফলে অনেকেই নিরাপত্তাহীতায় ভোগছেন। ভুক্তভোগিরা তার বিরুদ্ধে ব্যস্থা গ্রহণে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd