সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৩৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩, ২০১৯
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ১০জন ডাক্তারসহ কর্মকর্তারা প্রায় দশ বছর ধরেই অবস্থান করছে সরকারী বাসায়। কিন্তু বাসা ভাড়া না দিচ্ছেন না। এতে করে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব্য বঞ্চিত হচ্ছে। হাসপাতালের টিএইচও ইকবাল হোসেনসহ সংশ্লিষ্টকতৃ গুরুত্বপূন এই বিষয়টি দেখেও যেন না দেখার ভান করছে। এই নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়াও নতুন ভবন নির্মান হলেও আবাসিক ভবন(৩য় শ্রেনী কোয়টার)ঝুঁিক পূর্ন হলে রিপিয়ারিংয়ের কাজ হয় নি। ফলে ঝুকিঁ নিয়ে র্দীঘ দিন ধরেই বসবাস করছে ভবন গুলোতে কর্মকর্তা কর্মচারীগন। কিন্তু বাসা ছাড় পাচ্ছে না। ঐ ভবন গুলোতে যে কোন সময় অনাকাংখিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন সবাই। আবার নতুন বিল্ডিং ব্যবহার করার সুযোগ দিচ্ছে না টিএইচও ইকবাল হোসেন। আর ডাক্তার কোয়াটার ৩তলা বিল্ডিংটি করা হয়েছে আধুনিক। করা হয়েছে রং,ফ্লোর,বাথরোম টাইলস,বসানো হয়েছে ইংলিশ কমেট। তার পরও ডাক্তার কোয়াটার ৩তলা বিল্ডিংটিতে অবস্থানকারীরা সরকারী নির্ধারীত বেতন থেকে বাসা ভাড়া সরকারী ফান্ডে জমা দেওয়া কথা থাকলেও না দিয়ে অবস্থান করছে ডরমেটরী হিসাবে। এতে করে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব্য বঞ্চিত হচ্ছে। এই নিয়ে উপজেলার সচেতন মহল,স্থানীয় এলাকাবাসীসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত সবার মাঝে চাপা ক্ষোব বিরাজ করছে।
জানাযায়,বর্তমান সরকার এউপজেলা সাড়ে ৩লক্ষাধিক জনসাধারনের চিকিৎসা উন্নয়নের স্বার্থে ৩০শর্য্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশের একটি বৃহত্তর ৫০শর্য্যা বিশিষ্টি আধুনিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন ও ৩টি নতুন আবাসিক কোয়াটার তৈরী ও রিপিয়ারিংয়ের সর্ম্পূন কাজ করে আর আর এণ্টাপ্রাইজ নামের প্রতিষ্টান। ঐ প্রতিষ্টানের দায়িত্বপ্রাপ্ত্য কন্ঠ্রাকটার নিন্মমানের কাজ শেষ করে কতৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে। কিন্তু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষের পুরোনো ৩টি বিল্ডিং(২য় শ্রেনী নার্স কোয়াটার এক তলা বিল্ডিং),তৃতীয় শ্রেনী(৪তলা বিল্ডিং) এবং চতুর্থ শ্রেনী(২য় তলা বিল্ডিং)কোয়াটারে রিপিরিয়ারিংয়ের কাজ না করায় হাসপাতালের পুরোনো বিল্ডিংয়ের অংশ ও আবাসিক ভবন গুলো বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। দরজা,জানালাসহ অন্যান্য সব কিছুই খুবেই খারাপ অবস্থা ।
বৃষ্টির সময় রুমের দেওয়াল ছুয়ে পানি ভিতরে প্রবেশ করে। দেওয়ালের আস্থর খসে খসে পড়ছে। দরজা,জানালা ভাঙ্গা,পানির টেব,টয়লেটের লাইন সবকিছুই খুবেই খারাপ অবস্থা। ফলে ভবন গুলোতে অবস্থাকারীগন নিরাপত্তাহীনতায় আতœংকের মাঝে আছেন। মেরামত করবে বলেছিল কিন্তু পুরোনো ৩টি বিল্ডিংয়ের একটির কাজও করে নি। এই নিয়ে কর্মকর্তাদের মাঝে চমর ক্ষোব বিরাজ করছে।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, আমরা যারা থাকি ভাড়া দিয়েই থাকি।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল জানান,হাসপাতালের আবাসিক ভবন গুলোতে রিপিয়ারিংয়ের কাজ না হওয়ায় আবাসিক ভবন গুলো খুবেই ঝুঁিকপূর্ন এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে কথা বলব।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd