সুনামগঞ্জে অবৈধ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ

প্রকাশিত: ১০:৪২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩, ২০১৯

সুনামগঞ্জে অবৈধ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র সিনিয়র স্টাফ নার্স নির্লিপ্তা রাণী হলাদার ও তার স্বামী সঞ্জিব কান্তি বড়ুয়ার বিরুদ্ধে অবৈধ ডায়াগনষ্টিক সেন্টার চালানোর চালানোর দায়ে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) গণ-স্বাক্ষরকৃত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সঞ্জিব কান্তি বড়ুয়ার মালিকানাধীন পরিচালিত ‘জামালগঞ্জ ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এন্ড এক্সরে’ নামে বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট কার্যালয়ের স্বারক নং ৭৩ / ২৪-০২-২০১৯ ইস্যু কৃত ভূয়া পরিবেশ ছাড়পত্রের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হইতে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের লাইসেন্স গ্রহণের জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। যার অবেদন রেজি নং: এইচ.এস.এম ৩৮৫০৯।
সঞ্জিব কান্তি বড়ুয়া দীর্ঘদিন থেকে জামালগঞ্জ উপজেলা হাসপাতাল গেইটে অবস্থিত ‘জামালগঞ্জ ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এন্ড এক্সরে’ নামের একটি বেআইনী ল্যাব পরিচালনা করে যাচ্ছে। ওই ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন লাইসেন্স ছিলো না।
সম্প্রতি স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদপত্রে অবৈধ ডায়াগনষ্টিক সেন্টার শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় সঞ্জিব কান্তি বড়ুয়া চলতি বছরের গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট কার্যালয়ে ভূয়া পরিবেশ ছাড়পত্রের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হইতে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের লাইসেন্স গ্রহণের জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। কিন্তু বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট কার্যালয়ে তথ্য নিয়ে জানা যায়, সঞ্জিব কান্তি বড়ুয়া গত ৭ মার্চ অত্র কার্যালয়ে একটি অনলাইনে আবেদন করেন। সঞ্জিব কান্তি বড়ুয়া ওই ভূয়া পরিবেশ ছাড়পত্রের মাধ্যমে লাইসেন্স জন্য আবেদন করেন।

অভিযোগে প্রকাশ সিনিয়র স্টাফ নার্স নির্লিপ্তা রাণী হলাদার ১৯৯৬ সালে ২৪ ডিসেম্বর চাকরিতে যোগদানের পর থেকে নির্লিপ্তা রাাণী সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জেই অবস্থান। জামালগঞ্জ উপজেলার তেলীয়া গ্রামের সচেতন নাগরিকরা অভিযোগে উল্লেখ করেন, সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় ‘জামালগঞ্জ ডায়াগনষ্টিক সেন্টার’ নামের ল্যাবটি সরকারী কোন অনুমোদন নেই। বেআইনী পন্থায় পরিচালিত এ ল্যাবে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াও এমআর ও অবৈধ গর্ভপাত করা হচ্ছে। আর এটা করে থাকেন একজন সরকারী স্বাস্থ্য সেবিকা। আর তিনি হচ্ছেন জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র সিনিয়র স্টাফ নার্স নির্লিপ্তা রাণী হলাদার। তারা স্বামী-স্ত্রী দীর্ঘ দেড় যোগ থেকে এই বেআইনী ডায়াগনষ্টিক সেন্টারটি পরিচালনা করে যাচ্ছে।

১৯৯৬ সালে ২৪ ডিসেম্বর চাকরিতে যোগদানের পর থেকে নির্লিপ্তা রাাণী সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জেই অবস্থান করছেন। সরকারী চাকরির পাশপাশি স্বামী সঞ্জিব কান্তি বড়ুয়ার নামে জামালগঞ্জ উপজেলা হাসপাতাল গেইটে অবস্থিত ‘জামালগঞ্জ ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এন্ড এক্সরে’ নামের একটি বেআইনী ল্যাব। যেটির কোন লাইসেন্স নেই। শুধুমাত্র দুই বৎসর মেয়াদী চুক্তিতে নিয়ে আসা একজন ট্যাকনিশিয়ান দ্বারা ওই ল্যাবের রিপোর্ট প্রদান করা হয়ে থাকে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর টিএলসি এ সুমন কুমার পালকে দিয়ে সকাল সন্ধা ল্যাবের মেশিনের কাজ করানো হয়। আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিনটি সাদাকালো কিন্তু এলাকার সহজ সরল লোকজনকে ধোকা দিয়ে প্রিন্ট করা ছবিটি উপর রঙ্গিন করে হাতিয়ে নিচ্ছেন শত শত টাকা। ল্যাবে যে এক্সরে মেশিন ব্যবহার করা হয়,এর কোন লাইসেন্স নেই। নেই কোন রেডিওগ্রাফার, একটি টিনসেডের ঘরের মধ্যে ল্যাবটি পরিচালিত হচ্ছে। এক্সরে ঘরে কোন লিড প্রটেকশন না থাকায় এলাকাবাসী এক্সরে বিকরণ দ্বারা বিভিন্ন রোগের আক্রান্ত হচ্ছেন। এ ল্যাবের ভুল রিপোর্টে সর্বনাশ ঘটছে অনেক রোগীর।

মূলত ল্যাব পরিচালনার আড়ালে এ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নির্লিপ্তা রাণী প্রায়ই করে থাকেন বেআইনী এমআর ও অবৈধ গর্ভপাত ঘটানোর কাজ। সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে নির্লিপ্তা রানী এ অবৈধ কর্মকান্ড ও অবৈধ ব্যবসা করলেও কারো প্রতিবাদ করার সাহস নেই। কারণ সে নিজেকে একজন নারী নেত্রী হিসাবে সমাজে পরিচয় দিয়ে তার এই অবৈধ অবৈধ গর্ভপাত ঘটানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন।

বরিশালের পিরিজপুরের মেয়ে নির্লিপ্তা ও তার স্বামীর বাড়ি চট্টগ্রামে। অবৈধ এ ব্যবসার মাধ্যমে তারা দেশেরবাড়ি সহ সুনামগঞ্জে অনেক জায়গা জমিও করেছেন বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

April 2019
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..