সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:২৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০১৯
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শাহজীবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের প্রহারে গুরুতর আহত দশম শ্রেণির ২ ছাত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরন করা হয়েছে। এদিকে ওই ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক হাবিবুর রহমানকে বহিস্কার করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ঘটনার তদন্তে দুইটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মর্জিনা আক্তারকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি ও শাহজীবাজার ৩’শ মেঘাওয়াট নিবার্হী প্রকৌশলী মাহমুদুল কবিরকে প্রধান করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট অপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মল্লিকা দে ও মাধবপুর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন বিদ্যালয় গিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন। শিক্ষকের প্রহারে আহত দশম শ্রেণির ছাত্রী সাবিকুন নাহার মিম ও তানিয়া আক্তারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে দশম শ্রেণির ছাত্রী মিম ও তানিয়া অন্যান্য সহপাঠিদের সঙ্গে টিফিন খাওয়ার জন্য শেণিকক্ষের বাইরে যায়। টিফিন শেষে অন্যান্যদের সঙ্গে মিমি ও তানিয়া নির্দিষ্ট সময়ের ৪ মিনিট পর শ্রেণিকক্ষে ফেরার অপরাধে সহকারি প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান তাদেরকে বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। এক পর্যায়ে মিম জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এসময় সহপাঠী ও অভিভাবকরা তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেটে প্রেরণ করেন। বুধবার সকালে আহত দুই ছাত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
শাহজীবাজার ৩’শ মেঘাওয়াটের নিবার্হী প্রকৌশলী ও তদন্ত কমিটির প্রধান মাহমুদুল কবির জানান, আমরা তদন্ত শুরু করেছি। খুব শীঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
মাধবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।
মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মলিকা দে জানান, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত শিক্ষককেও বরখাস্ত করা হয়েছে। আহত একজন ছাত্রী শংকামুক্ত। অপরজন মিমকে ঢাকায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মর্জিনা আক্তার বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd