আম্বরখানা ফাঁড়ির এসআই বাতেনের বিরুদ্ধে বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ

প্রকাশিত: ৬:৫২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১১, ২০১৯

আম্বরখানা ফাঁড়ির এসআই বাতেনের বিরুদ্ধে বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের এয়ারপোর্ট রোডে আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আব্দুল বাতেনের বিরুদ্ধে বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এয়ারপোর্ট থানার অধিনস্থ নগরীর আম্বরখানা পুলিশ পাঁড়ির বাতেনের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট এলাকার ক্ষদ্র ব্যবসায়ীরা।

কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা বলেন, এসআই আব্দুল বাতেন আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়িতে যোগদানের পর থেকে বেপরোয়া ভাবে চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে। আম্বরখানা পয়েন্টের ক্ষুদ্র কাচামাল ব্যবসায়ীরা জানান, তিন লাইনে তিনজন লোক আছে যারা প্রতিদিন ফাঁড়ির ইনচার্জ বাতেনের নামে টাকা তোলে এবং প্রতিদিন বিকাল হলে ওই টাকা বাতেনের কাছে পোঁছে দেয়। তারা হলেন, জৈনিক মতি মিয় নামের এক ব্যক্তি সে প্রতিদিন পয়েন্টের পূর্বর লাইন থেকে টাকা উত্তোলন করে। পশ্চিম লাইন থেকে সালাম ও এয়ারপোর্ট রোড থেকে রাজু তারা তিনজনই প্রতিদিন সময়েরে আগে তিন হাজার টাকা বাতেনের কাছ পাঠিয়ে দেয়।

ব্যবসায়ী ও সরেজমিন দেখা গেছে, সম্প্রতি চাঁদা না পাওয়ায় ব্যবসায়ীদের মারধর করেন বাতেন। পরে ব্যবসায়ীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। কিন্তু ব্যবসায়ীরা আন্দোলন করে কোন লাভ হয়নি কারণ এস আই আব্দুল বাতেন উর্দ্দতন কর্তৃপক্ষের কাছে আগেই বলে দিছে যে ব্যবসায়ীরা রাস্তা বন্ধ করে দোনপাট বসায়। আরও অভিযোগ রয়েছে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে, আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার শাহী ঈদগাহ থেকে টিভি গেইট পর্যন্ত ফুটপাতে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে আদায় করেন তিনি।

নগরীর আম্বরখানা পয়েন্ট কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, সালুটিকর ও হাদারপাড় রোডে যে সকল অনটেষ্ট সিএনজি চলে এই সিএনজি থেকে আম্বরখানা স্টেন্ড ম্যানেজার আবুল খানের মাধ্যমে প্রতিমাসে মাসে দশ হাজার টাকা করে আদায় করেন। আম্বখানা টমটম ম্যানেজারের কাছ থেকে প্রতি মাসে পাঁচ হাজার। বনকলাপাড়া টমটম থেকে মাসে ৮ হাজার। জালালাবাদ আবাসিক এলাকা টমটম মাসে চার হাজার।

ভারতীয় তীর খেলা আম্বরখানার আনোয়ারের কাছ থেকে প্রতি মাসে ১২ হাজার ও চৌকিদিঘির জুনায়েদ দশ হাজার। এমনকি আম্বরখানা এলাকার যে সকল আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা চলে সকল আবাসিক হোটেল থেকে মাসোহারা টাকা আদায় করেন বলে অভিযোগে প্রকাশ।

কাচামাল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা তোলে ও এসআই বাতেনের কাছে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চত করেছেন মতি, সালাম ও রাজু। আম্বরখানা স্টেন্ড ম্যানেজার আবুল খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনটেষ্ট সিএনজি চালাতে হলে পুশিকে টাকা দেওয়া লাগে বিদায় আমরা দেই।

ভারতীয় তীর খেলার বোর্ড মালিক আনোয়ার ও জুনেদের কাছে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, তীরের বোর্ড যখন চালাচ্ছি তখন লাগবে।

চাঁদাবাজির বিষয়টি জানতে চাইলে আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আব্দুল বাতেনের মোটোফনে যোগাযোগ করার করা হলে তিনি কল রিসিভ করে বলেন এই সব বিষয়ে আমি ফোনে কথা বলতে ইচ্ছুক না।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

April 2019
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..