২০ ভাগ ধান পেকে গেছে : ফসল কাটার শুরুতেই শ্রমিক সংকট

প্রকাশিত: ৭:২৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০১৯

২০ ভাগ ধান পেকে গেছে : ফসল কাটার শুরুতেই শ্রমিক সংকট

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : কয়েকদিন আগেই মোট আবাদের প্রায় ২০ ভাগ ধান পেকে গেছে। গত বুধবার পর্যন্ত প্রায় ১ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। যে পরিমাণ ধান পেকেছে শ্রমিকের অভাবে সে পরিমাণ ধান কাটানো সম্ভব হচ্ছেনা। এদিকে এই শ্রমিক সংকটের মুখেই কয়েকদিনের মধ্যেই সরকারিভাবে আনুষ্ঠানিকভাবে একসঙ্গে প্রতি উপজেলায় ধান কাটা কর্মসূচি পালন করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। তাছাড়া আজ শুক্রবার থেকে জেলার প্রতিটি উপজেলায়ই কম-বেশি ধান কাটা হবে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ২০১৮-২০১৯ বোরো মওসুমে হাওরে প্রায় ২ লাখ ২৪ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ২০ ভাগ ধান পেকেছে। সরকারি হিসেবে আদি বোরো ধান ও কিছু ২৮ ধান কাটা পড়েছে। বাকি অবশিষ্ট ধানও এক সপ্তাহের মধ্যেই কাটার উপযোগী হয়ে যাবে।

ধান পাকতে শুরু করলেও শ্রমিক সংকট নিয়ে উদ্বিগ্ন হাওরের কৃষক। দুই দশক আগ থেকেই বাইরের ‘ভাগালু’রা ধান কাটতে না আসায় বোরো মওসুমে শ্রমিকের অভাবে অনেক কৃষকই ফসল কাটতে পারেননা। তাই বন্যায় হাওরের কিছু জমি এই কারণেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাছাড়া গত কয়েক বছর ধরে বজ্রপাত আতঙ্কের কারণেও শ্রমিকদের অনীহা তৈরি হয়েছে।

কৃষক ও কৃষক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এই শ্রমিক সংকটে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রতি বোরো মওসুমে জেলার সকল বালু ও পাথর মহালসহ সংঘবদ্ধ শ্রমিকদলকে হাওরে পাঠানোর দাবি জানিয়ে আসছেন। কারণ এই মওসুমে জেলার বিরাট শ্রমিক জনগোষ্ঠী ধান কাটার বদলে মহালে বালু-পাথর আহরণ করে। এতে শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। তাছাড়া হাওরের জমির ধান কাটার বদলে সরকারিভাবে আমন জমিতে ধান কাটার মেশিন তৈরি করে এই অঞ্চলে সরবরাহ করায় গত বছরই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। জানা গেছে বাইরের দেশের অনুদানসহ সরকার আমনজমিতে ধান কাটার জন্য মেশিন নিয়ে এসেছে। সুনামগঞ্জেও এমন কয়েকটি মেশিন রয়েছে। কিন্তু এই মেশিন হাওরে ধান কাটা যাচ্ছেনা।

হাওর আন্দোলনের নেতা কমরেড চিত্তরঞ্জন তালুকদার বলেন, সব মহালের শ্রমিকদের হাওরে ধান কাটতে বাধ্য করতে হবে। মালিকদেরও আইন করে মহাল কিছুদিনের জন্য বন্ধ রাখতে হবে। তাছাড়া আমনজমিতে ধান কাটার মেশিন উদ্ভাবনের বদলে আমাদের এক ফসলি হাওরের জমির ধান কাটার জন্য মেশিন তৈরি প্রয়োজন। আমাদের অঞ্চলে আমন জমির ধান কাটার মেশিনের প্রয়োজন নেই।

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. বশির আহমদ সরকার বলেন, সুনামগঞ্জে এবার ফলন ভালো হয়েছে। ২০ ভাগ জমির ধান পেকে গেছে। বাকি অবশিষ্ট জমির ধানও পাকার পথে। পুরো ফসল গোলায় তোলতে পারলে এবার বাম্পার ফলন হবে। তবে ধান পাকলে বিলম্ব না করে কেটে ফেলতে কৃষকদের আহ্বান জানান তিনি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

April 2019
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..