নুসরাত হত্যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পিবিআইয়ের হাতে

প্রকাশিত: ১১:৪০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০১৯

নুসরাত হত্যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পিবিআইয়ের হাতে

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : মাদরাসাছাত্রী নুসরাত হত্যার সন্দেহভাজন ঘাতক শাহাদাত হোসেন শামীম, হাফেজ আবদুল কাদেরকে খুঁজছে পিবিআই। পিবিআইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও তাদের গ্রেফতারে রাজধানীসহ সারাদেশ চষে বেড়াচ্ছে।

গ্রেফতার মকসুদকে জিজ্ঞাসাবাদে নুসরাত হত্যাকাণ্ডে ওই মাদরাসার ছাত্র শাহাদাত হোসেন শামীম, হাফেজ আবদুল কাদেরের নামসহ পরিকল্পিত আগুনের ঘটনার চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। তবে পিবিআইয়ের কর্মকর্তা ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মনিরুজ্জামান মামলার তদন্তের স্বার্থে বিষয়গুলো প্রকাশে রাজি হননি।

তিনি বলেন, ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলম ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করা হলেও তিনি ছিলেন ঢাকায়।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর ফকিরের পুলের একটি আবাসিক হোটেল থেকে কাউন্সিলর মকসুদ আলমকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পরই তাকে সরাসরি ফেনী নিয়ে আসা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর চট্টগ্রাম শহর থেকে গ্রেফতার করা হয় মকসুদের সহযোগী ও নুসরাত হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজন জাবেদকে। তাকেও চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি ফেনী আনা হয়। দুজনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের পর, তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে গ্রেফতার করা হয় আরেক সহযোগী নুরউদ্দিনকে। তাকে নিয়ে পিবিআইয়ের অপর একটি টীম বর্তমানে ফেনীর পথে।

নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অন্যতম আসামি ও অভিযুক্ত অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ-উদ-দৌলার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন নুরউদ্দিন।

নুরউদ্দিনকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভালুকার সিডস্টোর থেকে নুর উদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ বুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বিশেষ টিম। তাদের সহায়তা করে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। তিনি আরো বলেন, নূরউদ্দিনকে গ্রেফতার করে পিবিআইয়ের ঢাকা কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। পরে ফেনী নেয়া হচ্ছে বলে জানান পিবিআই কর্মকর্তা।

গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাত চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ দিন পর গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান।

এর আগে ২৭ মার্চ মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় তারা।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

April 2019
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..