সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৩২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটে প্রায় চার শতাধিক গ্রাহকের প্রায় কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের এক কর্মকর্তা। প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে এই কর্মকর্তা প্রায় দুই মাস ধরে পলাতক রয়েছেন।
সোমবার সকালে পাওনা টাকার দাবীতে নগরীর করিম উল্লাহ মার্কেটস্থ মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর কার্যালয়ে হাজির হন শতাধিক ভুক্তভোগি। তাদের বেশীরভাগই নি¤œ আয়ের কর্মজীবী নারী। তারা কোম্পানীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর চড়াও হন এবং টাকা ফেরত চান।
অভিযুক্ত কর্মকর্তা এইচ এম শাহীন প্রতিষ্ঠানের সিলেট জোনের ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
প্রতারণার শিকার হওয়া গ্রাহক মো. সিরাজ, সেলিনা বেগম ও সোনিয়া আক্তার জানিয়েছেন- দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এইচ এম শাহীন মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করতেন এবং জমার বিপরীতে গ্রাহকদের রশিদ দিতেন। কিন্তু ২০১৮ সালের শেষের দিকে তিনি প্রায় চারশতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় এক কোটি টাকা জমা নিলেও সেই গ্রাহকদের কোন জমা রশিদ দেননি। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত তিনি এভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নেন। দীর্ঘদিনের লেনদেনের সম্পর্কের প্রেক্ষিতে গ্রাহকরাও তাকে বিশ্বাস করে টাকা দিয়ে দেন। টাকা জমা দেয়ার বেশ কয়েকদিন পরও জমা রশীদ কিংবা প্রাপ্ত টাকা না দেয়ায় তারা কোম্পানীর দ্বারস্থ হন। তখন দেখা যায় এইচ এম শাহীন প্রতিষ্ঠানের গাড়িসহ পলাতক রয়েছেন।
এ ব্যপারে মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর সিলেট অফিসের কর্মকর্তা নিবাস রঞ্জন চয়ন বলেন- গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এইচ এম শাহীন পলাতক রয়েছেন। তিনি উধাও হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৮৬ জন গ্রাহক আমাদের অফিসে এসে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা তার সাথে যোগাযোগ করা অনেক চেষ্টা করেও তাকে পাইনি। তাই আমরা কোম্পানীর প্রধান কার্যালয়ে বিষয়টি অবগত করি। এর প্রেক্ষিতে আজ কোম্পানির ডিএমডি রকিবুল হাসান সুমন সিলেটে এসেছেন। তিনি গ্রাহকদের সাথে কথা বলছেন।
সোমবার দুপুরে মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় ডিএমডি রকিবুল হাসান সুমন অর্ধশত গ্রাহকদের সাথে কথা বলছেন। তাদের অভিযোগ শুনছেন। কিন্তু গ্রাহকদের কাছে কোন জমা রশিদ বা প্রমাণ না থাকায় তিনি কোন সমাধান দিতে পারছেন না।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd