নুসরাত হত্যায় আরেক অভিযুক্ত গ্রেফতার

প্রকাশিত: ২:৫৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০১৯

নুসরাত হত্যায় আরেক অভিযুক্ত গ্রেফতার

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা অভিুক্ত একজনকে গ্রেফতার করেছেন পিবিআই। ফেনীর সোনাগাজীতে অধ্যক্ষের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে বিচার চাওয়ায় আগুনে পুড়িয়ে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার ঘটনায় আরো এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সোমবার রাতে সোনাগাজী পৌরসভার তুলাতলী থেকে মো. শামীম (১৯) নামে ওই তরুণকে গ্রেফতার করা হয়। শামীম সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী।

পিবিআইয়ের পরিদর্শক শাহ আলম জানান, মামলার অন্যতম দুই আসামি শাহাদাত হোসেন ওরফে শামীম ও নুর উদ্দিনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মো: শামীমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শাহ আলম বলেন, ‘রাফির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার সময় শামীম প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।’

রাফি হত্যার ঘটনায় এই মামলায় আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত সাতজন আসামি রয়েছেন।

নুসরাত হত্যার ঘটনায় সরাসরি অংশ নেয়া আরেক নারী কামরুন্নাহার ওরফে মণিকে গ্রেফতারের কথা শোনা গেলেও তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো: শাহ আলম সেটাকে গুজব বলে উড়িয়ে দেন। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। মাদরাসাছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে এমন সংবাদে দিয়ে নুসরাতকে ছাদে ডেকে নেয়া হয়। সেখানে বোরকাপরা ৪-৫ জন তাকে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। অস্বীকৃতি জানালে তারা রাফির গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় সোমবার রাতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

April 2019
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..