কুলাউড়ায় ‘শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতিত’ গৃহবধূর মৃত্যু

প্রকাশিত: ৬:১১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০১৯

কুলাউড়ায় ‘শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতিত’ গৃহবধূর মৃত্যু

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনে গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের নওয়াগাও থেকে জনি বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

জনির স্বামী সাইদুল ইসলাম লাকি (৩৫) ও শ্বাশুড়ি মমতা বেগমসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন মেয়ের (জনির) বাবা আবুল কালাম আজাদ।

বেলা ১১টার দিকে কুলাউড়া থানা প্রাঙ্গণে মেয়ের লাশের পাশে দাঁড়িয়ে এসব অভিযোগ করেন তিনি।

মেয়ের শ্বশুর কাইয়ুম মিয়ার বাড়ি কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের কাজলধারা গ্রামের নওয়াগাঁও এলাকায় শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে জানি বেগমের মৃত্যু হয় বলে আবুল কালাম জানান।

জুড়ী উপজেলার ঢেকাপুর ইউনিয়নের খাইস্তগ্রাম এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ জানান, শনিবার কুলাউড়ায় ফারুক মিয়ার বাড়িতে শিরনীর দাওয়াতে এসেছিলেন তিনি। সেখান থেকে সন্ধ্যায় মেয়েকে দেখতে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যান তিনি। মেয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখতে পেয়ে তিনি প্রশ্ন তুললে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জনি বেগমকে মৌলভীবাজারের সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাতেই আবার মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসেন তারা। একপর্যায়ে রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

তিনি বলেন, আমার মেয়ের গলা টিপে তারা হত্যা করেছে, আমি এর বিচার চাই।

আবুল কালাম বলেন, ৪ বছর আগে কুলাউড়ার মেয়েকে সাইদুল ইসলাম লাকির সাথে বিয়ে দেই। তাদের দুই বছরের নাজমুস সাকিব নামে একজন সন্তান আছে। সাইদুল কয়েকমাস আগে থেকে অন্য একটি মেয়ের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। এর পর থেকে সে আমার মেয়ের ওপর অমানুষিক নির্যাতন করতো। বাধ্য হয়ে আমার মেয়েকে চার মাস যাবত বাড়িতে রেখে দেই। কিন্তু গত ৩ মাস আগে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও আরও কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের অনুরোধে তাকে আবার শ্বশুর বাড়িতে ফেরত দেই। এখন মেয়ের লাশ নিয়ে ফিরলাম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ঘটনাটি সন্দেহজনক। ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দিচ্ছি। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি পরিষ্কার বুঝা যাবে। তবে জনির স্বামী সাইদুল ইসলাম লাকি প্রায়শই তাকে শারীরিক নির্যাতন করতো। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দিলে তা আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

April 2019
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..