সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৪১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪ স্টাফ নার্সের ঘুষ-অনিয়ম ও দুনীতি এবং দুর্নীতিবাজ অফিস সহকারী নুর মোহাম্মদকে সহযোগিতা, ফেইসবুকে নার্সদের নিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ভুক্তভোগীরা। গত ২৯ এপ্রিল সোমবার এ স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, ‘‘আমরা সিলেট মহানগরের কয়েকজন সচেতন নাগরিকবৃন্দ আপনার নিকট উল্লেখিত ওসমানী হাসপাতালের স্টাফ নার্স রেজাউল করিম, তাজুল ইসলাম, নূরুল ইসলাম ও সদর হাসপাতালের স্টাফ নার্স ওয়াহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে সিলেটের সচেতন নাগরিক মহলের ব্যানালে মানববন্ধন করা হয়। এর আগে গত ২০ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ২৪ মার্চ সিলেট এম.এ.জি ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক বরাবরেও পৃথক পৃথক অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের অনুলিপি সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়। অভিযুক্তরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি গ্র“প তৈরী করে নার্সদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সিলেট সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের বর্তমান অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর নূর মোহাম্মদকে নানা ঘুষ, বাণিজ্য কাজে সহযোগিতা করে আসছে। নুর মোহাম্মদ বর্তমানে সিলেট সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে স্ব^াস্থ্য সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে সহকারীর দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছেন। তার মূল বাড়ি বরিশাল জেলায়। তার পিতা মরহুম মুসলিম খলিফা সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় ছিলেন এবং সিলেট নগরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। পিতার চাকরির সুবাদে উল্লেখিত নূর মোহাম্মদ ২০১০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যসহকারী পদে সরকারী চাকরি নেন। প্রথমে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলাপ স্ব¦াস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বপালন করেন। পরে যোগাযোগী ও তদবীর মূলে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে স্থানান্তরিত হয়েই ‘আলাদিনের চেরাগ’ বনে যান। দেশের স্বনামধন্য সিলেট এম, এ,জি ওসমানী হাসপাতালের ঔষধ ও যন্ত্রপাতি চোরাই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত হয়ে পড়েন তিনি। পাশাপাশি কম্পিউটার মাধ্যমে হিসেব নিকেশে অনিয়ম ও ডিজিটাল কারচুপি করে হাসপাতালের লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুল কলাগাছ হয়ে যান। কিনেন সিলেট মহানগরে নিজ পরিবারের নামে একাধিক বাড়ি ও গাড়ি। একসময় তার এ অনিয়ম-দুর্নীতি ধরা পড়লে তাকে সিলেটস্থ শহীদ শামসুদ্দীন সদর হাসপাতালে শাস্তিমূলক বদলী করা হয়। সেখানেও নানা অনিয়ম-দূনীতি শুরু করলে তাকে আবারো বদলী করা হয় সিলেট সংক্রামক ব্যাধি হাসপাকতালে বর্তমানে তিনি ঐ হাসপাতালে স্বাস্থ্য সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত। মাত্র ১৮হাজার ৭শ ৪৫ টাকা মাসিক বেতনে সরকারী চাকরির সুবাদে স্বাস্থ্য সহকারী নূর মোহাম্মদ ইতোমধ্যে সিলেট মহানগরে ৪টি বিলাসবহুল বাড়ি গাড়ি ও ভুসম্পত্তির মালিক হয়েছেন। নুন আনতে পান্তÍা ফুরায় পরিবারে সদস্য নূর মোহাম্মদের এহেন আর্থিক উত্থানে নগরবাসী হতবাক। তার আকস্মিক এ উত্থানের বিষযটি সম্প্রতি ও বর্তমানে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বহুল আলোচিত হয়ে ওঠেছে। সচেতন নাগরিকদের বিশ্বাস অনিয়ম-দূর্নীীত ও ঘোষকোর সরকারী সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সহকারি নূর মোহামম্মদ-এর এহেন উত্থান ঘটেছে।”
তাদের এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd