সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৩৭ অপরাহ্ণ, মে ২৩, ২০১৯
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরে গত ২২ মে বুধবার রাত ১১ টায় হরিপুর বাজারে চিহ্নিত আসামী ধরতে আসে র্যাব-৯ এর টহল টিম। এসময় চেরাইপথে নিয়ে আসা ভারতীয় নাছিরবিডি, মাদক সামগ্রী ও গরু ধরতে গেলে চোরাকারবারীদের গডফাদারদের ইশারায় মুহুত্বে মধ্যে টহল টিমের উপর হামলা চালায়। এঘটনায় র্যাবের অফিসার সহ বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হন। এরই জের ধরে রাত ২টায় হরিপুর অঞ্চলে বিভিন্ন গ্রামে র্যাবের উপর হামলাকারী ও চোরাই মালামাল উদ্ধারের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল কাহির পঁচা, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ প্রায় ৩০জনকে আটক করে র্যাব-৯ কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
চেরাকারবারীদের ব্যবসা রক্ষার ও নিরিহ মানুষদের হয়রানীর করার প্রতিবাদে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক সকাল হতে অবরোধ করে স্থানীয় জনসাধারন। রাস্তা অবরোধের ফলে রাস্তায় আটকাপড়ে সহ্রসাধীক যাত্রী, জরুরী কাজে আসা জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট উপজেলা কর্মকর্তা কর্মচার, তামাবিল স্থলবন্দরের অফিসার ও ইমিগ্রেশনে যাত্রায়াতকারীরা।
বিগত দিনে নিজেদের মধ্যে যে কোন ধারনে কাথাকাটাকাটি কে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। ফলে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে নেয় একটি পক্ষ। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাছে হয়ে পড়ে জিম্মি। ঘন্টার পর ঘন্টা দূর্ভোগ পোহাতে হয় তামাবিল মহাসড়কে যাথায়াতকারীরা। কিছুদিনের মধ্যে আবার তাদের মধ্যে ভাল সম্পর্ক গড়ে উঠে কিন্তু বিচার পায়নি ভোক্তভোগী সাধারণ মানুষ।
আটকে পড়া ভোক্তভোগীদের যাত্রীদের অনেকের সাথে আলাপকালে তারা জানান- রমজান মাসে সকালে বাড়ী থেকে বের হই জরুরী কাজের জন্য। কাজ শেষ করে দ্রæত ইফতারের পূর্বে বাড়ী ফিরতে হবে। আমরা হরিপুরে এসে অযুক্তি অবরোধের কবলে পড়ে হয়রানীর শিকার হচ্ছি। সীমান্ত এলাকা হতে হরিপুরের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। তারপর এখানে চোরাকারবারী ও তাদের গডফাদারদের অবৈধ মালামাল রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর আক্রমনের দায় নিতে হচ্ছে আমাদেরকে। জৈন্তাপুর উপজেলার মধ্যে ২টি কোম্পানীর ৫টি বিজিবি ক্যাম্প, ১টি মডেল থানা থাকার পরও কিভাবে সড়ক পথে প্রতিদিন ভারতীয় নাছির বিড়ি, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট, চা-পাতা, গাড়ীর ট্রায়ার, টিউব, পার্স সামগ্রী, মটর সাইকেল, সিএনজি অটোরিক্সা, মদ, ইয়াবা, হেরোইন, আফিম, গাজা, অবৈধ অস্ত্র, গোলা-বারুদ, ভারতীয় রুপি এবং গরু ও মহিষ অবৈধ পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করা হচ্ছে। বিপরিতে বাংলাদেশ হতে চোরাকারবারীদের মাধ্যমে মিষ্টির কাটুনে যাচ্ছে শত শত স্বর্নের বার। চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার থাকে না আইন শৃঙ্খলাবাহীনির। চোরাকারবারীদের সাথে জড়িত থাকার কারনে ইতোমধ্যে ফতেপুর ইউপির নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদকে ৬মাসের সাজা ও অর্থদন্ডে দন্ডিত করে মানননীয় আদালত। এঘটনায় ইউপির চেয়ারম্যানপদটি থাকে হারাতে হয়েছে। বাজার ইজারাদার অবৈধ ভাবে ভারতীয় গরু রশিদ দিয়ে বৈধ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন বাজারে প্রেরণ করতে চোরাকারবারীদের সহযোগিতা করে ফলে বিভ্রান্তে পড়তে হয় সিলেট শহরে প্রবেশ দ্বারে আইন শৃঙ্খলায় নিয়োজিত র্যাব-পুলিশ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থায় নিয়োজিত সদস্যদের।
গত ১৪ মে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা বৈঠকের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিৎ কুমার পাল জৈন্তাপুর সীমান্তের ৫টি বিজিবি ক্যাম্পকে ভারতীয় পন্য এবং ভারত হতে অবৈধ পথে নিয়ে আসা গরু প্রবেশ করতে না পরে এবং চোরাকারবারীদের আপডেট তালিকা প্রস্তুত করার নিদের্শজারী করলেও সীমান্ত পথে চোরাইপন্য ও গরু আসা বন্ধ হচ্ছে না।
রাস্তা অবরোধের বিষয়ে জানতে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া সুলতানা জানান- বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের সাথে আলোচনা চলছে আশারাখি দ্রæত একটি সমাধান চলে আসবে।
এবিষয়ে জানতে একাধিকবার অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ ময়নুল জাকির এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd