সিলেট ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৫ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:০৩ অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০১৯
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ গৃহবধূ আছমিনা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকদের বরাতে দিয়ে বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক বলেন, আছমিনাকে দেখে এসেছি। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছি। সে আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ আছে। আছমিনার সঙ্গেও কথা হয়েছে। তিনি কিছুটা সুস্থবোধ করছেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে সোমবার আছমিনার শারীরিক অবস্থা দেখে তাঁর উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নেন বড়লেখা থানার ওসি। এরপরই স্থানীয় জনপ্রতিনধিদের সহযোগিতায় বুধবার রাত ১০টায় ওসি আছমিনাকে অ্যাম্বুলেন্স করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠান তিনি।
তিন বছর আগে উপজেলার সদর ইউপির জফরপুর গ্রামের ছমির উদ্দিনের মেয়ে আছমিনার সঙ্গে ছেগুল গ্রামের আনু মিয়ার ছেলে সাহেদ আহমদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই স্বামীর মারধরের শিকার আছমিনা সংসার বাঁচাতে সব সহ্য করতেন। ঘটনার কয়েকদিন আগে স্বর্ণালংকার বিক্রির টের পেয়ে বাবার বাড়িতে রেখে আসেন। পরে এ খবর জানতে পেরে ক্ষুদ্ধ স্বামী স্ত্রীর কাপড়ে আগুন দিয়ে তাকে চেপে ধরে। এতে আছমিনার শরীরের বেশির ভাগ অংশ ঝলসে যায়।
এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছমিনাকে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে পালায় পাষণ্ড স্বামী। ওইদিন মঙ্গলবার দুপুরে আছমিনাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পাঁচ দিন চিকিৎসার পর হাসপাতাল তাকে ছাড়পত্র দিয়ে দেয়। বাবার বাড়িতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন তিনি। বর্বর এ ঘটনাটির খবর পেয়ে সোমবার আছমিনার পাশে দাঁড়ান বড়লেখা থানার ওসি। এরপর তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন ওসি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd