নগরীতে এক পরিবারের সঙ্গে বাদশাদের লাখ লাখ টাকা প্রতারণা

প্রকাশিত: ৭:০০ অপরাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০১৯

নগরীতে এক পরিবারের সঙ্গে বাদশাদের লাখ লাখ টাকা প্রতারণা

সিলেট নগরীতে এক তরুণীর পরিবারের কাছ থেকে লাভের প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ হতিয়ে নিচ্ছে মধুবন মার্কেটের ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী বাদশা ও তার সহযোগীরা।

অভিযোগ উঠেছে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে প্রতারক চক্রের মূলহোতা বাদশাহ মিয়ার কাছে কু-প্রস্তাবের শিকার হয়েছেন এক তরুণী (৩৫)। ঘটনাটি ঘটেছে নগরীর দরগা মহল্লা পায়রা এ/৪ বাদশা মিয়ার বাসায়।

জানাগেছে, নগরীর সুবিদবাজার বনকলাপাড়া এলাকার এক তরুণী ও তার পরিবারের কাছ থেকে ২০১৭ সালে ব্যাবসার মালিকানা দেওয়ার নাম করে প্রায় বিশ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় একটি প্রতারক চক্র। কথা ছিলো ব্যাবসার লাভ প্রতিমাসে ২৫ হাজার টাকা করে দিবে। কিন্তু এই চক্রটি টাকা নেওয়ার ছয়মাস পর কোন লাভ দেয়নি। এমনকি লাভের টাকা চাইতে গেলে চক্রটি ওই পরিবারকে বলে ব্যাবসার অবস্তা বর্তমানে ভালো না। এমতা অবস্তায় কয়েক মাস অতিবাহিত হলে ওই চক্রকে ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু এই নোটিশের কোন জবাব নেয়নি চক্রটি।

পরবর্তীতে চলতি বছরের ২ ফেব্রæয়ারী ওই তরুণী বাদী হয়ে অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সিলেটে একটি মামলা দায়ের করেন। কোতোয়ালী সি আর মামলা (নং ১৮১/২০১৯ ইং)। মামলা এক মাত্র বাদশা মিয়াকে আসামী করা হয়।

ওই তরুণী জানান, বাদশার মধুবন,ফাষ্টফুড দর্শনদেউড়ীতে টাকার জন্য যান ওই তরুণী। তখন রাত আটটা পযর্ন্ত বসিয়ে রাখে বাদশা। পরে টাকা চাইলে বলে টাকাতো বাসায়। চলেন বাসায় যাই। তরুণী বলেন ভাবি কোথায় সে বললো চট্রগ্রামে। তরুণী বললেন ভাবি নেই আমি বাসায় যাবনা। বাদশা বলে আরে আসেনতো টাকা নিয়ে চলে আসবেন। পরে তিনি বাদশার কথায় সরল বিশ^াসে সাহস করে তার বাসায় গেলেন। রুমে ঢুকে বসার সাথে সাথে তরুণীর পাশে এসে বসে বাদশা।পরে ওই তরুণীর হাত ধরে বললো আপনার ভাবিতো বাসায় নেই আমাকে একটু সময় দিবেন। এমনকি তাকে সময় দেওয়া শেষ হলে তার বন্ধুদের সময় দিতে হবে বলে প্রস্তাব করে বাদশা। যদি আমাদের সময় দেন আপনার পাওনা টাকা পাবেন। তরুণী বাদশার উপর কিপ্ত হয়ে বলেন কিসের সময়। বাদশা বলে আপনি বুঝতে পারছেন না। বাদশার নজর ভালো নয় দেখে তরুণী বললেন টাকা দিবেন নয়তো চললাম বলে তিনি ওই স্থান থেকে দ্রæত চলে যান। পরের দিন আবার তার দোকানে গিয়ে টাকা চাইলে সে তরুণীকে বলে আপনি বাসায় যান আমি টাকা নিয়ে আসছি।

ওই তরুণী আরও জানান, তাদের পরিবারের তিনজনের কাছ থেকে প্রায় বিশ লক্ষ টাকা নেয় চক্রটি। তারা হলো চট্রগ্রাম সিটির ছিদ্দিক আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আলী বাদশা বর্তমান নগরীর দরগা মহল্লা পায়রা এ/৪ বাসার বাসিন্ধা। অন্যান্যরা হলো বিয়ানি বাজারের আব্দুল আজিজ, নগরীর উপশহরের ইশতিয়াক, পাবনার মাছুদ, মূল হোতা বাদশার স্ত্রী ঝর্না আক্তার।

সম্প্রতি তারা ওই তরুণীর পরিবারের কাছে গিয়ে বললো প্রতি মাসে পনের তারিখে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে পরিশোধ করবে। কৌশলে চক্রটি তরুণীর কাছ থেকে স্ট্যাম্প নিয়ে আসে। পরে তরুণী বুঝতে পারেন এটা তাদের সাজানো নাটক ছিল। টাকা দেওয়া সময় আসলে আবার তরুণীর বাসায় আওয়ামীলিগের সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে আমাকে বিভিন্ন রকম হুমকি এবং ভয়ভীতি দিয়ে বলে তরুণী কোন টাকা পাননা। তরুণীর স্ট্যাম্পের জন্য সাইদুলকে কল দিলে বলে বাবুল স্ট্যাম্প ছিড়ে ফেলেছে। পরে এয়ারপোট থানায় ১৫/০১/১৯ ইং তরিখে তরুণী একটি জিডিও করেন। বাকি আরো ছয়লক্ষ টাকার চেক নেওয়ার জন্য আজিজ তরুণীর কাছ থেকে অনেক চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে তরুণীকে হামলা-মামলাসহ বিভিন্ন হুমকি প্রদান করেন। পরে আদালতে ৩/২/১৯ তারিখ আমি ছয়লক্ষ টাকার একটি চেকের মামলা করি, মামলা নং-১৮১/১৯ দায়ের করেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..