সিলেট ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:১১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণার প্রতিষ্ঠান নাসায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সিলেটের মেয়ে মাহজাবিন হক। তার নিয়োগের মধ্য দিয়ে সিলেট তথা বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে আরো একবার পরিচয় করিয়ে দিলেন তিনি। বিশ্বমঞ্চে লাল সবুজের পতাকাকে আরো একবার তুলে ধরলেন তিনি। চলতি বছরের ৭ই অক্টোবর তার কর্মস্থলে যোগ দেবেন মাহজাবিন ।
মাহজাবীন হক এ বছরই মিশিগান রাজ্যের ওয়েইন স্টেইট ইউনির্ভাসিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাচেলর ডিগ্রী সম্পন্ন করেছেন। তার এমন সাফল্যে শুধু মিশিগানে বসবাসরত কমিউনিটির লোকজনই নয় বরং সিলেট তথা পুরো বাংলাদেশের মানুষই গর্ববোধ করছে তাকে নিয়ে।
দেশে মাহজাবিন সিলেটের খাজাঞ্চিবাড়ি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন । ২০০৯ সালে পরিবারের সাথে যুক্তেরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পর , দু’বছর নিউ ইয়র্ক সিটিতে ছিলেন। ২০১১ সালে মেশিনগানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করার পর তিনি ভর্তি হন হামট্রাম্ক হাই স্কুলে । সেখানের পড়া লেখা শেষ করে তিনি ওয়েইন স্টেইট ইউনির্ভাসিটিতে ভর্তি হন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ । ইউনির্ভাসিটিতে অধ্যয়নকালেই তিনি দুই দফায় টেক্সাসের হিউস্টনে অবস্থিত নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে ইন্টার্ণশীপ করেছেন। প্রথম দফায় তিনি ডাটা এনালিস্ট এবং দ্বিতীয় দফায় সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে মিশন কন্ট্রোলে কাজ করেন।
দুই দফায় দীর্ঘ ৮ মাস ২টি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে কাজ করার পর তিনি সাম্প্রতিক সময়ে নাসার মিশন কন্ট্রোল সেন্টার (এমসিসি) তে সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিয়োগ পান । মিশন কন্ট্রোল হলো নাসার সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন বিল্ডিং যেখান থেকে নাসা রকেট লঞ্চ নিয়ন্ত্রন করে ।
মাহজাবীন হক শুধু একজন সফল শিক্ষার্থী-ই নন, তিনি একজন ভালো সংগঠকের পাশাপাশি পেইন্টিং ও ডিজাইনে দক্ষ যেমন তেমনি নাচে গানেও সমান পারদর্শী। ইউনির্ভাসিটিতে অধ্যয়নকালে তিনি ২০১৬ সালে সহপাঠী ও বাঙ্গালী শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠন করেন বাংলাদেশ স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন (বিএসএ)। শুরুতে সেক্রেটারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরের বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। প্রত্যক্ষ ভোটে প্রতি বছর এ নির্বাচন হয়ে থাকে। তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনকালে ভল্টারিং কার্যক্রম চালু করেন।
মাহজাবীন হক বর্তমানে স্থায়ীভাবে মিশিগানে বসবাস করছেন। সাথে আছেন মা ফেরদৌসী চৌধুরী ও একমাত্র ছোট ভাই সৈয়দ সামিউল হক যিনি বর্তমানে ইউএস আর্মিতে আছেন। পিতা সৈয়দ এনামুল হক কর্মসূত্রে দেশে অবস্থান করছেন। তিনি একটি ব্যাংকের (পুবালী ব্যাংক) সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার। পৈত্রিক নিবাস সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার কদমরসুল গ্রামে হলেও তারা সিলেট নগরীর কাজীটুলাস্থ হক ভবনের স্থায়ী বাসিন্দা।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd