সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:০৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০১৯
সম্প্রতি সিলেটের একটি প্রিন্ট পত্রিকা ও কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে ‘সিলেটে ফিল্মি স্টাইলে বিয়ের রাতে নববধূ ছিনতাই’ শীর্ষক সংবাদের সাথে ভিন্নমত পোষণ করেছেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার রাজনপুর গ্রামের আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, একটি পরিকল্পিত অপহরণ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে কুচক্রী মহল সংবাদপত্রে মিথ্যা তথ্য দিয়ে কাল্পনিক গল্প প্রচার করে অপপ্রচার করছে। প্রকৃত সত্য ঘটনা আড়াল করতে দায় চাপানোর চেষ্টা করছে তার উপর। এই কুচক্রী মহলের অপপ্রচার ও অবৈধ কর্মকান্ডের কারণে আত্মীয় পরিজনসহ বিভিন্ন জনের কাছে তার পারিবারিক সম্মান ভুলুন্টিত হচ্ছে।
প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়, সিলেট নগরীর পশ্চিম চৌকিদেখীর বাসিন্দা মতিউর রহমান চৌধুরীর ছেলে হাবিবুর রহমান চৌধুরীর (২২) সাথে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার রাজনপুর গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ের (২০) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। হাজেরার বাবা আব্দুস সালাম সম্পর্কে হাবিবের মা ইসমত আরার চাচাতো ভাই। আত্মীয়তার সূত্রে ছোটবেলা থেকেই হাবিবের সঙ্গে মামাতো বোন তুলির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আবদুস সালাম এ ধরণের বক্তব্যকে ডাঁহা মিথ্যাচার আখ্যায়িত করে বলেন, হাবিবুর এজন বখাটে। আত্মীয়তার সুবাদে হাবিবুর বিভিন্ন সময় তার মেয়েকে উত্যক্ত করতো। এমন আচরণের কারণে বিভিন্ন সময় হাবিবুরের অভিভাবকদের কাছে বিচার প্রত্যাশী হলেও কোন ফল পান নি। হাবিবুরের বখাটেপনার প্রতিবাদ করায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর নগরীর কুমারপাড়া থেকে অস্ত্রের মুখে আবদুস সালামের মেয়েকে তুলে নিয়ে ইচ্ছের বিরুদ্ধে একটি এফিডেভিট সম্পন্ন করে। যাতে আবদুস সালামের মেয়ে স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছে বলা হয়। অথচ বখাটে হাবিবুর ও তার সহযোগিরা জোরপূর্বক এফিডেভিট সম্পন্ন করে বিয়ে হয়েছে বলে প্রচার করে থাকে। মেয়ের অপহরণের সংবাদ পেয়ে আবদুস সালাম ও তার পরিবারের লোকজন হাবিবুরের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে, তার মামাসহ অন্যরা গিয়ে আবদুস সালামের মেয়েকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। এ সময় হাবিবুরের স্বজনরা এ ধরণের ঘটনার জন্য লজ্জিত বলে জানান। অথচ সংবাদে পিতা কর্তৃক মেয়েকে ছিনতাই করা হয়েছে বলে জঘন্য মিথ্যাচার করা হয়েছে। প্রতিবাদলিপিতে আবদুস সালাম বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে সেরা মিথ্যাচার এটি। কারণ কোন পিতাই সন্তানকে ছিনতাই করে না। কাল্পনিক মনগড়া গল্প দিয়ে প্রকৃত সত্য আড়াল করার কোন সুযোগ নেই। উভয় পরিবারের আত্মীয়তা থাকায় বিষয়টি থানা পুলিশে জানানো না হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করে বখাটে হাবিবুর মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রকৃত সত্য আড়ালের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, বখাটের হাবিবুর তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পর মেয়ের মোবাইল ও পাসপোর্ট ছিনতাই করেছে। মেয়েকে হাবিবুরের স্বজনরা ফেরত দিলেও হাবিবুর মোবাইল ও পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেয় নি। এখনও হাবিবুর ওই মোবাইল নিজে ব্যবহার করার পাশাপাশি মেয়ের স্বজনদের ফোন করে নানা ধরণের বিভ্রন্তিকর কথাবার্তা বলছে। পাশাপাশি মোবাইলে লগইন করা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকও ব্যবহার করছে। যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে বেরিয়ে আসবে। বিজ্ঞাপন
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd