কোম্পানীগঞ্জের প্রশাসনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ৫:৫৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৫, ২০১৯

কোম্পানীগঞ্জের প্রশাসনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ

কোম্পানীগঞ্জের প্রশাসনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। তারা দাবি করেছেন- দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স শুরু করায় কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও বিজেন ব্যানার্জী সহ পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করা হচ্ছে। এই অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সাংবাদিক সহ সকল মহলের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। বিবৃতিদাতারা হচ্ছেন- কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী শামীম আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান মো. লাল মিয়া ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা বেগম।
গত এক বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন- গত ৩রা অক্টোবর সিলেটের স্থানীয় “একাত্তরের কথা” পত্রিকা এবং অনলাইনে কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও বিজেন ব্যনার্জীকে দুর্নীতিবাজ আখ্যায়িত করে খবর প্রকাশিত হয়েছে। টুকের গাও গ্রামের হীরা মিয়া ও ভোলাগঞ্জ গ্রামের জাফরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই অপপ্রচার করা হয়েছ। কিন্তু তাদের দুই জনের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। একটি স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় ওই দুই ব্যক্তি এ অভিযোগ প্রদান এবং পরবর্তীতে গণমাধ্যমে প্রচার করে আমাদের পরিষদের সুনাম ক্ষুন্ন করেছে বলে আমরা মনে করি। আমরা খুশী হতাম যদি এসব অভিযোগের বিষয়ে ইউএনও কিংবা উপজেলা পরিষদের কোনো জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বিষয়টি গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে বক্তব্য গ্রহণ করত। তাহলে আমরা সত্য তুলে ধরতে পারতাম। কিন্তু আমাদের পরিষদের কারও কোনো বক্তব্য গ্রহন করা হয়নি। এতে আমরা মর্মাহত হয়েছি।

সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনুর্ধ্ব ১৭) আয়োজনে টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান সহ ইউএনও আরো ৩ লাখ টাকা চাদা উত্তোলন করেছেন। কিন্তু এই অভিযোগটি সত্য নয়। এখানে কোনো চাদাবাজি হয়নি। বরং খেলা শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহনকারী ৬টি টিমকে তাদের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু ওই সময় একটি অবৈধভাবে বালু ও পাথরখেকো সিন্ডিকেট ইউএনওর অভিযানের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে এবং অন্যায় সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় এই ডাহা মিথ্যা অভিযোগ এনে অপপ্রচার চালাচ্ছে । পরবর্তী সময়ে উপজেলা পরিষদ সমন্বয় সভায়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়। উপজেলা প্রশাসন থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি)র তত্বাবধানে ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি হতে উত্তোলিত পাথরের উপর খাস কালেকশন করা হয়। এই খাস কালেকশনের উত্তোলিত সব টাকা প্রতিদিন ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এই খাস কালেকশনের বিষয়টি সবসময় মনিটরিং করেন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ। সুতরাং সরকারের টাকা যাতে কেউ আত্মসাত করতে না পারে সে দিকে নজরদারি রয়েছে। অবৈধ সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় খাস কালেকশনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ থেকে একটি মহল ফায়দা লুটতে এই অপপ্রচার করছে।

কোম্পানীগঞ্জের শারপিন টিলার অবৈধ পাথর উত্তোলন নিয়ে কোম্পানীগঞ্জের প্রশাসন সব সময় জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করেছে। এ কারনে গত এক মাসে ঘনঘন অভিযান চালানো হয়েছে এই টিলায় এবং পাথরখেকোদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযান ও মামলা দায়েরের পর অবৈধ ইজারাদার অংশের লোকজন নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এখনো তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সুতরাং শারপিন টিলা নিয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা আদৌ সত্য নয়। আমরা মনে করি- শারপিন টিলায় অভিযানের পর সুবিধাভোগি অংশের প্ররোচনায় দুই ব্যক্তি ইউএনও ও পরিষদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে অভিযোগ দিয়েছে।

সাদাপাথর এলাকায় আগত পর্যটকদের গাড়ি পার্কিংয়ের ইজারা নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। সাদা পাথর নতুন আবিস্কৃত পর্যটন এলাকা। অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলার কারনে পর্যটকরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হওয়ায় উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভার সিদ্ধান্তক্রমে গাডড় পার্কিংয়ের ইজারা প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে অনুযায়ী ইজারা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কোটেশন আহ্বান করা হয়। ইজারা বিজ্ঞপ্তি উপজেলা পরিষদের নোটিশ বোর্ড, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের নোটিশ বোর্ড, ওয়েব পোর্টালসহ ফেইসবুকে প্রচার করা হয় এবং নির্ধারিত তারিখে সর্বোচ্চ সংখ্যক কোটেশন দাখিল হয়। কোটেশনে সর্বোচ্চ দর দাখিলকারীকে উপজেলা পরিষদের বিশেষ সভায় সিদ্ধান্তক্রমে ইজারা প্রদান করা হয়। সুতরাং সাদা পাথর পর্যটন স্পটে শৃঙ্খলা আনতেই উপজেলা পরিষদ নিয়ম মেনেই টেন্ডার আহবান করে।এরপর থেকে সাদা পাথর পর্যটন স্পটে শৃঙ্খলা ফিরেছে। কিন্তু কিছু সংখ্যক পাথর ও এলসি ব্যবসায়ী জোরপূর্বক সরকারি ভুমিতে পাথর ডাম্পিং করতে না পেরেই ক্ষুব্ধ হন এবং যারা পর্যটনের বিরোধীতা করছে তারাই মূলত এই অপপ্রচার করছেন। উল্লেখ করা আবশ্যক যে- সাদা পাথরের গাডড় পার্কিং ইজারা অংশ পাথর ডাম্পিংয়ের এলাকা নয়।

এডিবির বরাদ্দকৃত ২০ লাখ টাকার প্রকল্পের কাজ প্রাক্কলন অনুযায়ী উপজেলা ১ নং ভবন মেরামত ও সংস্কার, উপজেলা পরিষদের হলরুম মেরামত ও ইউএনও বাসভবন মেরামতের কাজ সুচারূভাবে শেষ হয়েছে। সরকারী আইন মেনে ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে এসব কাজ সম্পাদন করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানান জনপ্রতিনিধিরা। গত ১১ই জুন ২০১৯ “দৈনিক কালের কন্ঠ” ও স্থানীয় “উত্তরপূর্ব “পত্রিকায় তিনটি প্রকল্পের টেন্ডার আহবান করা হয়। এবং ২৫ শে জুন পরিষদের সম্মেলনকক্ষে ঠিকাদারদের সামনে টেন্ডার বাক্স খুলে লটারীর মাধ্যমে ঠিকাদারদের কাজ দেওয়া হয়। সুতরাং এখানে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার কোন সুযোগ নেই।

কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা প্রশাসন এখন জনগনের প্রশাসন। জাতির জনকের তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন সুফল ও আধুনিক দেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল নানা ভাবে উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করতে চক্রান্ত চালাচ্ছে। ওই অংশে রয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। এজন্য কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও বিজেন ব্যানার্জী ও উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা অনুরোধ করছি। আমরা সিলেটের সাংবাদিক সহ সকল মহলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

জাতির জনকের তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন সুফল ও আধুনিক দেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল নানা ভাবে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে চক্রান্ত চালাচ্ছে। ওই অংশে রয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। এজন্য কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও বিজেন ব্যানার্জী ও উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা অনুরোধ করছি। আমরা সিলেটের সাংবাদিক সহ সকল মহলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..