সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:১২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৭, ২০১৯
প্রতারণার মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারি ভূমি আত্মসাতের অভিযোগে জৈন্তুাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে দুদক আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
গত বুধবার সিলেটের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের করগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের ছেলে মো. মনির আহমদ মামলাটি দায়ের করেন। তবে শুক্রবার তা প্রকাশ পায়।
মামলার বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট শহিদুজ্জামান রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘জৈন্তাপুরের নিজপাটে সরকারি ৪ কোটি টাকার মূল্যের ভূমি অবৈধভাবে কেনাবেচার অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী, সাবেক ইউএনও খালেদুর রহমানসহ ১৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।’
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- জৈন্তাপুর উপজেলার চুনাহাটি নিজপাট গ্রামের মৃত আবদুল মালিক চৌধুরীর ছেলে আখলাকুল আম্বিয়া, বাউরভাগ মৌল্লিফৌদ গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলী ওরফে টেনাইর ছেলে মো. মুসলিম আলী, উমনপুরের মুছিম আলীর ছেলে আপ্তাব আলী, বাউরবাগ (কেন্দ্রি) গ্রামের মো. কলিম উল্লাহর ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন, জৈন্তাপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক বীরখাই গ্রামের আজির উদ্দিন, বাউরভাগ মৌল্লিফৌদ গ্রামের সত্যেন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে সঞ্জয় বিশ্বাস, গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ণানগরের মো. নজির উদ্দিনের ছেলে মোশাহিদ আলী, জৈন্তাপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক মো. মীর জাহান, জৈন্তাপুরের সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার বোরহান উদ্দিন সরকার, সাবেক ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুর রহিম, সাবেক ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নিত্যান্দন দেব, জৈন্তাপুর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার নুরুল ইসলাম, উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুনতাসির হাসান, বাউরভাগ মৌল্লিফৌদ গ্রামের মইন উদ্দিনের ছেলে ফরিদ উদ্দিন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট মৌজার জেএল ১৮, দাগ নং২৪২ এ দোকান রকম শ্রেণির ৮ ভূমির ১ নং খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা। মামলার আসামি আখলাকুল আম্বিয়া, মুসলিম আলী ও লিয়াকত আলী যোগসাজশি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তায় জালিয়াতির মাধ্যমে এ ভূমির জাল দলিল করে অবৈধভাবে কেনাবেচা ও ভোগদখল করে আসছেন।
লিয়াকত আলী সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীরাও তার স্বার্থরক্ষা করে চলছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলাটি দুদকে তদন্ত করার আবেদন জানিয়েছেন বাদি মো. মনির আহমদ।
উল্লেখ্য, পাথর কোয়ারির আধিপত্য নিয়ে লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রয়েছে। একই সঙ্গে তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মারধরসহ ক্যামেরা ভাঙচুরের অভিযোগও রয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd