সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:০১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
চাঁদপুর জেলা জজ আদালতে কর্মরত পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আরিফ হোসেনকে এক নারীসহ আটক করা হয়েছে।
আদালতের বাথরুমের ভেতরে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকায় আরিফকে হাতেনাতে ধরা হয়। পরে তাকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আরিফ হোসেনকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেন আদালত ভবনে উপস্থিত লোকজন। বিচারপ্রার্থী এক নারীর সঙ্গে তাকে পাওয়া যায় জেলা জজ আদালতের দোতলার বাথরুমে। চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার মহজমপুর গ্রাম থেকে আগত বিচারপ্রার্থী নারী স্বামীর দায়ের করা দুটি মামলার আসামি। তিনিও একটি মামলা করেছেন স্বামীর বিরুদ্ধে। এসব মামলার কাজে ওই নারী বুধবার আদালতে আসেন। পরে তাকে বাথরুমে পাওয়া যায় পুলিশের সঙ্গে। এরপর তাদের দুজনকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জানা যায়, পুলিশের এএসআই আরিফ হোসেন জেলা জজ আদালতে কর্মরত। জেলখানা থেকে প্রতিদিন আসামিদের আনা-নেয়ার কাজ তদারকি করেন তিনি। বুধবার নারীসহ এএসআই আরিফকে আটকের ঘটনা জানতে পেরে ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর হোসেন মামুনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। তারা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সহায়তা নিয়ে আটক পুলিশ ও নারীকে নিজেদের হেফাজতে নেন।
এরপর নারীসহ পুলিশকে এসপি কার্যালয়ে নেয়া হয়। আইনি পদক্ষেপের পর নারীকে হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের কাছে। বিকেলে অভিযুক্ত এএসআই আরিফ হোসেনকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, কারো ব্যক্তিগত অপরাধের দায় পুলিশ বাহিনী নিতে পারে না। তদন্তে পুলিশ সদস্য আরিফ হোসেন দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপ্রীতিকর এ ঘটনায় এসপি কার্যালয়ে কর্মরত পরিদর্শক (অপরাধ) নাজমুল হককে প্রধান করে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন এসপি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd