দক্ষিণ সুরমা বালুর মাঠে গড়ে উঠেছে অপরাধের ‘স্বর্গরাজ্য’:

প্রকাশিত: ১০:৫৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০১৯

দক্ষিণ সুরমা বালুর মাঠে গড়ে উঠেছে অপরাধের ‘স্বর্গরাজ্য’:

যেখানে একটি কলোনি রুমের ভাড়া ৪০ হাজার। সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমা কদমতলী বালুর মাঠে গড়ে উঠেছে অপরাধের স্বর্গরাজ্য। দিনদিন অপরাধের দৌরাত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধবংস হচ্ছে এখানকার যুবসমাজ।

জানা গেছে- মাদক ব্যবসায়ী ও অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িতরা সিলেট নগরীর কোন জায়গায় স্থান না পেলেও বালুর মাঠে তাদের আশ্রয় মিলে। এই অপরাধীদের অশ্রয় দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন দক্ষিণ সুরমার বাসিন্ধা জৈনিক মুজিব মিয়া।

মুজিব মিয়া বালুর মাঠের কলোনীর মালিক। তিনি টাকার জন্য সবই পারেন বলে জানিয়েছেন তাহার এক ভাড়াটিয়া। সিলেটের বেশীর ভাগ হিজড়া জনগোষ্টির লোকদের স্থান দিয়ে অদের মাধ্যমে প্রকাশ্যে দেহ ব্যবসা চালাচ্ছেন মুজিব মিয়া। তার কলোনির কক্ষ ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা চালাচ্ছেন যে সকল হিজরা। তারা নিজেই বলেন, মুজিব মিয়াকে দৈনিক দেড় হাজার ও মাস শেষে প্রতি রুমের ভাড়া দশ হাজার করে দিতে হয়।

স্থানীয়রা জানান- মুজিব মিয়া বালুর মাঠকে এক অপরাধের স্বর্গরাজ্য গড়ে তোলেছেন। এই স্থানে মদ, নারী, জুয়া ও ছিনতাইকারীদের একমাত্র অশ্রয়ের স্থান। তার কাছ থেকে কক্ষ ভাড়া নিয়ে পতিতা ও হিজড়ারা বোপোরা দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা হলেন, কালি হিজড়া, পাখি হিজড়া, সাজু হিজড়া, কালা হিজড়াসহ নারী দেহ ব্যবসায়ীরা। এদের সেল্টার দিয়ে দৈনিক ও মাসোহারা হারে লাখ লাখ টাকা আদায় করছেন মুজিব। মাঠে ঢুকার রাস্তার পাশে রয়েছে বড় বড় জুয়ার আসর। আর সেখান থেকেও দৈনিক ও মাসোহারা টাকা নেন মুজিব।

পুলিশ কোনদিন অভিযান দেয়নি। র‌্যাব যখন কলোনীর চারপাশ রেড দিয়ে অপরাধী আটক করে তখন মুজিব কলোনীর মালিক হয়েও লুঙ্গি কোমড়ের উপর তুলে দৌড়াতে থাকেন। মুজিবের টাকার লোভের কারণে অপরাধীরা হয়ে উঠে আরো ভয়ংকর। এই কলোনীতে নিয়মিত আড্ডা দেন এলাকার উঠতি বয়সী গুটিকয়েক তরুণরা। বাংলা মদও খান তারা। সাথেতো রয়েছে ইয়াবা সেবন। ভারতীয় তীর খেলাতো রয়েছে।

সম্প্রতি এই মুজিব মিয়ার কলোনির ভাড়াটিয়া সিলেট নগরীর শীর্ষ ছিনতাইকারী ঝাড়ুকে আটক করে র‌্যাব-৯।

মুজিবের অপরাধ স্বর্গরাজ্য ধ্বংস করতে দক্ষিণ সুরমা থানা আর পুলিশ ফাঁড়িতে থাকা গুঠিকয়েক অর্থলোভী পুলিশ সদস্যকে বদলী করে সেখানে সৎ ও সাহসি পুলিশ সদস্য নিয়োগ দিতে এসএমপির পুলিশ কমিশনারের নিকট হস্থক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।

অনুসন্ধান শেষে বিস্তারিত আসবে—

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..