প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য অনশনের ১১ দিন পার করলেন চাঁদের কনা

প্রকাশিত: ৩:৪৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০১৯

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য অনশনের ১১ দিন পার করলেন চাঁদের কনা

প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে দীর্ঘ ১১ দিন পার করলেন চাদের কনা। তিনি বহুবার চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের কিন্তু সম্ভব হয়নি। এবার অনশনের ১১ দিন পার করলেন মিলেনি প্রধানমন্ত্রীর দেখা। চাদের কনার একটি কথা প্রধানমন্ত্রী সাথে দেখা না করে তিনি ঘরে ফিরে যাবো না।

বয়স এখন ৩২। জন্মের ৯ মাস বয়স থেকেই পলিও রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাভাবিক চলাফেরা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু বন্ধ হয়নি পড়ালেখা। মাস্টার্স শেষ করেছেন ৩ বছর আগে। চাকরির জন্য ঘুরেছেন ধারে ধারে। কিন্তু ঘোরেনি ভাগ্যের চাকা। পাশে দাড়ায়নি কেউ। বলছিলাম সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার বিয়াড়া গ্রামের মৃত মোঃ আবদুল কাদের’র কন্যা ‘চাঁদের কনা’র কথা।

তিনি বহুবার চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের। সেখানে হয়েছেন ব্যর্থ। সকল চেষ্টা যখন ব্যর্থতায় রুপ নিলো ঠিক তখনই বাধ্য হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গত ২৬ জুন যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি চাকরির দাবিতে শুরু করলেন অনশন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসা মাত্রই ৩ দিন পরেই ২৯ জুন তার দাবি মেনে নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তার একান্ত সচিবকে চাকরির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন।

চাঁদের কণার অভিযোগ, কিছুদিন পরে দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব তার দাবি অস্বীকার করে সিরাজগঞ্জ জেলা সমাজসেবা অফিসে অস্থায়ীভাবে হাজিরা ভিত্তিক ৪র্থ শ্রেণির একটি চাকরি দেন। যার নিয়োগপত্র তিনি নেননি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এটা তার জন্য একধরনের অপমান। যার কারণে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দেখা করতে পারেননি। তাই আবারো দাবি আদায়ে অনশনে বসেছেন তিনি।

তিনি বলেন, আমার শরির দিনদিন ভারি হয়ে যাচ্ছে। কারো সাহায্য ছাড়া বাইরে যেতে পারি না। আজ থেকে ২০ বছর পর নিজের ভয়ানক জীবনের কথা ভাবলে কষ্টে চোখ ভিজে যায়। যদি ভালো একটা চাকরি না হয়, তাহলে আমার বিয়ে হবে না। থাকবে না কোন জমানো অর্থ। তাহলে আমার কি হবে? তাই আমি অনেকটা নিরুপায় হয়ে ২য় বার যুদ্ধে নেমেছি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে চাই। বলতে চাই আমার কষ্টের কথা। আমার বিশ্বাস সব জানার পর তিনি আমাকে ফিরিয়ে দেবেন না।

চাঁদের কনা আরো বলেন, আমি বাঁচতে চাই। আমি আমার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করতে চাই। আপনারা আমাকে মায়ের কাছে পৌঁছে দেন। চাকরিটা আমার জীবনের জন্য যেমন দরকার, ঠিক মায়ের সাথে দেখা করা আমার স্বপ্ন। তার সাথে দেখা না করে আমি ঘরে ফিরে যাবো না।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..