বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১০দিন আটকে রেখে তরুণীকে (১৮) একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনায় সিলেটের বিশ্বনাথ থানায় অবশেষে মামলা হয়েছে। (২৯ অক্টোবর) গতকাল মঙ্গলবার রাতে তরুণীর বাবা বাদী হয়ে ৩জনের নাম উল্লেখ করে ও আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি রেখে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২৩।
জানা গেছে, বিশ্বনাথে তরুণীকে ১০ দিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলে তরুণীকে উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্তকে আটক করা হয়। পরে তরুণীর সঙ্গে বিয়ের কথা বলে স্থানীয় মাতবররা অভিযুক্তকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেন এবং এক লাখ টাকায় ঘটনা মীমাংসার প্রস্তাব দেন। অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান টিটু উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের কোনাউড়া নোয়াগাঁও গ্রামের মনোহর আলীর ছেলে। গৃহকর্মী ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন হাবিবুর রহমান টিটু। গত ১১ অক্টোবর ওই তরুণীকে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। এরপর এক বাড়িতে তাঁকে আটকে রেখে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। নিখোঁজের ঘটনায় তরুণীর বাবা গত ১৮ অক্টোবর বিশ্বনাথ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দিন বিকেলে তরুণীকে উদ্ধারের পাশাপাশি ওই ছেলেকে আটক করে পুলিশ। তখন বিয়ের করার কথা বলে স্থানীয় মাতবররা থানা থেকে তাঁদের বাড়ি নিয়ে যান। কিন্তু পরে স্থানীয় মাতবর সোনা মিয়া, আহমদ আলী, আলী হোসেন, আবদুল গফুরসহ কয়েকজন তরুণীর পরিবারকে এক লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসার প্রস্তাব দেন। তাতে তরুণীর পরিবার রাজি হলেও ক্ষিপ্ত টিটুর পরিবার তরুণীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়।
এ নিয়ে গত ২৭ শে (অক্টোবর) রাতে ‘ বিশ্বনাথে তরুনীকে ১০দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Sharing is caring!