সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:০৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
সুবাস দাস, গোয়াইনঘাট :: ইমরান আহমদ ১৯৪৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ভারতের আম্বালায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম ক্যাপ্টেন রশিদ আহমদ এবং মাতা মরহুম কামরুন নেসা।ইমরান আহমদ ১৯৬৪ সালে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট এবং একই স্কুল থেকে ১৯৬৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট এবং ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল বিষয়ে স্নাতক সম্মান ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ফেব্রুয়ারি ১৯৭০ সনে জেমস্ ফিনলের চা বাগানে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। বর্তমানে তিনি নিজের চা বাগান পরিচালনা করছেন। ১৯৮৬ সন থেকে সরাসরি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও জনসেবার সঙ্গে জড়িত।
ইমরান আহমদ তৃতীয় (১৯৮৬), পঞ্চম (১৯৯১), সপ্তম (১৯৯৬), নবম (২০০৮) দশম (২০১৪) জাতীয় সংসদ এবং একাদশ জাতীয় সংসদ (২০১৮)নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি পঞ্চম জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি সপ্তম জাতীয় সংসদে সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নবম জাতীয় সংসদে লাইব্রেরি কমিটি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দশম জাতীয় সংসদে তিনি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ইমরান আহমদ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি রাংপানি ক্যাপ্টেন রশিদ হাইস্কুল এন্ড কলেজ, ইমরান আহমদ মহিলা ডিগ্রি কলেজ, গোয়াইনঘাট ইমরান আহমদ বালিকা বিদ্যালয়, ইমরান আহমদ কারিগরি কলেজ, কোম্পানীগঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা।
এছাড়াও তিনি গোয়াইনঘাট কলেজ, জৈন্তিয়া ডিগ্রি কলেজ, সারিঘাট উচ্চ বিদ্যালয়, সালুটিকর কলেজ, আলীরগাঁও কলেজ, হাজী সোহরাব আলী স্কুল এন্ড কলেজ, রুস্তমপুর কলেজ, এবং হযরত শাহজালাল (রহ.) ডিগ্রি কলেজের দাতাসদস্য সহ বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত।
তিনি বাংলা ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায় দক্ষ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে তিনি দক্ষিণ কোরিয়া এবং কাতার সফর করেন। তাছাড়া বিভিন্ন সময় সরকারিভাবে ভারত, পাকিস্থান, নেপাল, শ্রীলংকা, যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, চীন, অষ্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ত্রিনিদাদ, যুক্তরাজ্য, আজারবাইজান, সিঙ্গাপুর, উগান্ডা, দক্ষিণ আফ্রিকা, জাম্বিয়া, ক্যামেরুন, সুইজারল্যান্ড, কলম্বিয়া এবং হল্যান্ড সফর করেছেন। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে ভুটান, যুক্তরাজ্য, মালেয়েশিয়া, জাপান, ফ্রান্স, কানাডা, দুবাই সফর করেছেন। দেশ ভ্রমণ ছাড়াও সমাজসেবা তাঁর অন্যতম শখ।
বিবাহিত জীবনে ইমরান আহমদ এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী ড. নাসরিন আহমদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। বর্তমানে নাসরিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপউপাচার্য (একাডেমিক) হিসেবে কর্মরত৷বর্তমানে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী হচ্ছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ও সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ।
আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, দল এবং দেলের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যদি সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করেন তবে তিনি মাথা পেতে এ দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। নেত্রীর সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত।
মন্ত্রী বলেন, আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হলে কোন গ্রুপিং থাকবেনা। গ্রুপ থাকবে একটাই, সেটা হলো শেখ হাসিনা গ্রুপ। সবকিছুর উর্ধ্বে থেকে জেলা আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নিতে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কাজ করে যাবো।
এদিকে মন্ত্রী ইমরান আহমদ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দেওয়ায় পাল্টে গেছে পুরো হিসেব-নিকেশ। গ্রুপিং রাজনীতির উর্ধ্বে একজন ক্লিন ইমেজধারী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
তিনি যদি সভাপতি প্রার্থী হন তবে পাল্টে যাবে জেলা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সমিকরন ।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন এ পর্যন্ত সভাপতি পদে যারা প্রার্থী হওয়ার মতপ্রকাশ করেছেন তাদের মধ্যে ইমরান আহমদ অনেকটা এগিয়ে। একজন বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা হিসেবে তৃনমূলে তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও প্রিয় একজন কর্মী হলেন ইমরান আহমদ।
দীর্ঘদিন থেকে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দিয়েই চলছে। তাছাড়া এডভোকেট লুৎফুর রহমান বয়োজ্যেষ্ঠ হওয়ায় সকল অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন না। তাই একাই সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীকে হ্যান্ডেল করতে হয়েছে রাজনৈতিক কূর্মসূচী ।
তাই মন্ত্রী ইমরান আহমদ সভাপতি প্রার্থী হলে দীর্ঘদিন পর একজন যোগ্য সভাপতি পাবে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd