সিলেটে অপহরণ ও চাঁদাবাজি মামলার ফেরারী আসামি মামুন আটক

প্রকাশিত: ৮:০৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০১৯

সিলেটে অপহরণ ও চাঁদাবাজি মামলার ফেরারী আসামি মামুন আটক

স্টাফ রিপোর্টার: সিলেট নগরী থেকে অপহরণ ও চাঁদাবাজি মামলার মূলহোতা ফেরারী আসামি মামুনকে অবশেষে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

 

গত ৩০শে নভেম্বর শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১১.৩০ মিনিটের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস আই অনুপ চৌধুরীর নেতৃত্বে নগরীর সোবহানিঘাটস্থ হাজী নওয়াব আলী মার্কেটের কাঁচাবাজার সংলগ্ন মিনি পিকআপ স্ট্যান্ড থেকে অপহরন ও চাঁদাবাজি মামলার অন্যতম পলাতক আসামী মামুনুর রসিদ মামুনকে গ্রেফতার করা হয়। সে কানাইঘাট থানার উপর ঝিঙ্গাবাড়ী দলইমাটি এলাকার মৃত ফরমুজ আলীর ছেলে।

 

সে শাহপরান আবাসিক এলাকার নীপবন ১০ এর ২ নং রোডে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকত।

 

এ ব্যপারে সোবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস আই অনুপ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নগরীর হাজী নওয়াব আলী মার্কেটের ২য় তলায় অবস্থিত একটি ফিজিও থেরাপি সেন্টারের পরিচালকের নিকট ভয়ভীতি প্রদর্শনপূর্বক উক্ত আসামী মামুন প্রথমে চাঁদা দাবি করে। পরবর্তিতে চাঁদা না পেয়ে ওই পরিচালককে অপহরণের চেষ্টা চালায়। বাধ্য হয়ে ঐ পরিচালক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যার মামলা নং– ২৮, ধারা ৩৮৫/৩২৩, ৫০৬ এর ২, ৩৪ দ.বি। এর পর থেকে আসামী মামুন গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘদিন পলাতক ছিল। কয়েক দফা অভিযান পরিচালনা করে অবশেষে গত শনিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। উক্ত আসামি মামুনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে আর গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন অপহরন ও চাঁদাবাজির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে। তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। বর্তমানে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

এছাড়া আসামীর মামুনের নামে সিলেট শাহপরান (রহ.) থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা রয়েছে (মামলা নং-১৯২) যেখানে তাকে ৪০ নং আসামী করা হয়েছে এবং শাহপরান মা-মনি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে উলে­খ করা হয়েছে।

 

উলে­খ্য,অপহরণ ও চাঁদাবাজি মামলার মূল হোতা আসামী মামুন “মামুন গ্রুপ” নামে একটি গ্রুপ চালায়। এই গ্রুপের মাধ্যমে সে শহরে চাঁদাবাজি, অপহরণসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। মামুনুর রশীদ নিজেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে গ্রাজুয়েট দাবী করলেও পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে সে ইন্টারমিডিয়েট পাস। মদনমোহনে কলেজে স্নাতকে ভর্তি হলেও পরে লেখাপড়া বন্ধ করে দেয়। এই যোগ্যতা নিয়েই সে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে বসে আছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

December 2019
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..