সিলেট ২৩শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:২৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সঙ্গীর সঙ্গে পরপুরুষের (পুরুষ গন্ডার) মেলামেশা কেন সহ্য করবে প্রেমিক? সেটাও আবার জঙ্গলের মধ্যে? বিশেষ পরিস্থিতিতে যখন ছিল দুই গন্ডার, তখনই ঘটনাস্থলে আসে নারী গন্ডারের ‘স্বামী’। পরিস্থিতি দেখে অনেকটা হুমকির ঢংয়ে মাটিতে পা দাপড়ে সে দু’জনকেই হুঁশিয়ার করার চেষ্টা করে।
কিন্তু প্রেমের মত্ততায় সে হুমকির তোয়াক্কা করেনি পরপুরুষ। ওই অবজ্ঞায় রেগে শুরু করে দেয় পেশির আস্ফালন। আগুনে মেজাজ নিয়ে বেঈমান গন্ডারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আসল প্রেমিক। সঙ্গিনীকে ফুঁসলে নিয়ে যাওয়ার মতলব করা গন্ডারের সঙ্গে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে রুদ্ধশ্বাস লড়াই চালায় সে।
শেষ পর্যন্ত যোগ্যতম হিসেবে জয়ী হয় স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতে। একসময় ভারতের গোরুমারার গন্ডারদের আকৃতি ও আচরণের মধ্যে প্রভেদ দেখে প্রায় একক চেষ্টায় তাদের অদ্ভুত নামকরণ করেছিলেন তৎকালীন ডিএফও তাপস দাস। বড়দিনের সকালে গোরুমারা জাতীয় উদ্যানের মেদলার জঙ্গলের তিন নম্বর কম্পার্টমেন্টে ঘাড়মোটার রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেন বনকর্মীরা।
ওই লড়াইয়ে জখম হয়েছে ‘টারজান’ও। তবে দূর থেকে ওই জখম গন্ডারের ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ঘাড়মোটার মরদেহের ময়নাতদন্তে কোনো রকম গুলির চিহ্ন না মেলায় বন কর্মকর্তারা নিশ্চিত যে, ওই গন্ডারটির মৃত্যুর পিছনে চোরাশিকারীদের যোগসাজশ নেই। টারজানের বেপরোয়া মার সহ্য করতে না পেরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে বৃদ্ধ গন্ডারটি।
হালফিলে গোরুমারা ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে গন্ডারদের সঙ্গিনী দখলের ওই মারণ লড়াই বেড়ে চলার কারণ সম্পর্কে উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণ শাখার মুখ্যবনপাল উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, জলদাপাড়া ও গোরুমারায় গন্ডারদের পুরুষ-মাদি সমানুপাতিক হার ১:১ এ পৌঁছে গেছে। কিন্তু গন্ডারদের জীবনশৈলি ও মনস্তত্ত্ব অনুসারে প্রত্যেকটি পুরুষ গন্ডার পিছু তিনটি করে মাদি গন্ডার থাকা প্রয়োজন। স্বাভাবিক কারণে ওই সমানুপাতিক হারে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সঙ্গিনী দখলের লড়াইয়ে পুরুষ গন্ডাররা বেশি লিপ্ত হতে শুরু করেছে। তবে এই প্রবণতা যথেষ্ঠ উদ্বেগের।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd