সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:২২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভবনের সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে রাখা বিপুল পরিমাণ ওষুধ আটক করেছে স্থানীয় জনতা। ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, স্যালাইনসহ বিনামূল্যের সরকারি ওষুধ সেখানে জমা করা হচ্ছিল বাইরে পাচারের উদ্দেশ্যে। এক্ষেত্রে স্থানীয়দের অভিযোগ উপসহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোকলেসুর রহমানের বিরুদ্ধে। বিক্ষুব্ধ জনতা সোমবার স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ঘেরাও করে এসব অনিয়মের বিচার দাবি করেন। রাজবাড়ী গোয়ালন্দের উজানচর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ঘটেছে এ ঘটনা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রিয়াজ উদ্দিনপাড়ায় অবস্থিত উজানচর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। সেটিই স্বাস্থ্য সেবা পেতে এলাকার কয়েক হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা। স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে কর্মরত আছেন একজন মেডিকেল অফিসার ও একজন উপসহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার। প্রতিদিন শতাধিক রোগী সেখানে চিকিৎসা নিতে যান। রোগী দেখার পর চিকিৎসাপত্রসহ বিনামূল্যের ওষুধ সরবরাহের নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হয়না বলে অভিযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে রোগীর জন্য বরাদ্দ ওষুধ বিক্রি হয় বাইরে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ঘেরাও করেন স্থানীয় জনতা। তারা তল্লাশি চালিয়ে ভবনের পেছনে সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে উদ্ধার করেন ওষুধ। এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপসহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোকলেসুর রহমানের বাড়ি রাজবাড়ী সদর থানার লালগোলা বাজার এলাকায়। সেখানে ‘দেশ টেলিকম এন্ড ফার্মেসি’ নামে তার দোকান রয়েছে। ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই তিনি ওষুধের ব্যবসা করেন বলে জানান এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে উজানচর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডা. আফরোজা সুলতানা বলেন, ‘উপসহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দারের অভিযোগ জেনেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।’
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সরকারি ওষুধ বাইরে পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করে মোকলেসুর রহমান বলেন, ‘সামর্থ্যবান কোন রোগীকে আমি সরকারি ওষুধ দেই না। কিন্তু সরকারি ওষুধ বাইরে পাচারের অভিযোগ সত্য নয়। আর আমি একজন উপসহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, তাই ওষুধ বিক্রিতে আমার কোন ড্রাগ লাইসেন্সের প্রয়োজন নেই।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd