আটক ব্যক্তিরা হলেন- মো. সজল আহম্মেদ (২৮) ও মো. মামুন হোসেন (২৬)। দুজনই অপহরণকারী চক্রের সদস্য বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-৩ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্টাফ অফিসার (ইন্ট অ্যান্ড মিডিয়া) এবিএম ফাইজুল ইসলাম, গতকাল মঙ্গলবার রাতে র্যাবের মোবাইল পেট্রোল টিম খিলগাঁও ফ্লাইওভার এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এ সময় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক নারীর চিৎকার শোনে সদস্যরা।
চিৎকারের শব্দ অনুসরণ করে পুলিশ লেখা সাদা রংয়ের ওই প্রাইভেট কারটির (রেজিস্ট্রেশন নং-ঢাকা মেট্টো-গ-২৩-৫০৪৩) পিছু নিয়ে সেটি জব্দ করে। পরে গাড়ি থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে সদস্যরা। এ সময় সজল ও মামুনকে আটক করে র্যাব। তাদের কাছ থেকে কয়েকটি মোবাইল ও মেমোরি কার্ড জব্দ করা হয়।
উদ্ধার ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, তিনি একজন গৃহিনী। দুই সন্তান ও স্বামীর সঙ্গে সবুজবাগ থানা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। সজলের সঙ্গে বিয়ের আগে তার সম্পর্ক ছিল। সে সময় বিয়ের প্রলোভনে তার কিছু ব্যক্তিগত স্থির ও ভিডিও চিত্র ধারন করে রেখেছিল সজল।
উদ্ধার নারীকে বিয়ের অস্বীকৃতি জানালে তিনি পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করেন। কিন্তু সাবেক প্রেমিকার বিয়ের পর নিজের কাছে থাকা ছবি ও ভিডিওগুলো তার স্বামী, মা-বাবা-ভাই-বোন এবং শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় সজল। সামাজিক যোগযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
র্যাব আরও জানায়, সজলের এই ব্ল্যাকমেইলের কারণে স্বামীর সংসার বাঁচাতে তার অন্যায় আবদার মেনে আসছিলেন উদ্ধার ওই নারী। সম্প্রতি তিনি সজলের সঙ্গে সব ধরণের যোগযোগ বন্ধ করে দেন। একে ক্ষিপ্ত হয়ে সজল ছবি ও ভিডিওগুলো ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে দেয়। তারপরও তার অন্যায় আবদার পূরণে অস্বীকৃতি জানালে ওই নারীকে অপহরণের পরিকল্পনা করে সজল।
সজল ও মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব আরও জানায়, সজল ও মামুন ইয়াবা সেবন করে। মামুন প্রাইভেটকারের চালক। সে গাড়ীতে পুলিশ এবং আইনজীবী স্টিকার ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে অপহরণ ও মাদক বহনের মতো অপরাধ করে আসছিল। মামুন ওই নারীকে অপহরণে সহায়তার কথা স্বীকার করেছে।
সজল ও মামুনের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছে র্যাব।