সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:২১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট নগরীতে যানজট কোনো নতুন বিষয় নয়। তবে যানজট নিরসনে বিভিন্ন প্রদক্ষেপ নিয়ে কাজ করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সিলেট নগরীর বিভিন্ন সড়কের মতো একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হলো আম্বরখানা-এয়ারপোর্ট সড়কটি। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এই সড়কে সকাল-সন্ধ্যা যানজট লেগেই থাকে। এর মূল কারণ হলো রাস্তার উপর সিএনজি অটোরিকশার অবৈধ স্ট্যান্ড ও বিভিন্ন ধরনের গাড়ির পার্কিং।
সরজমিনে পরিদর্শকালে দেখা যায় অনেক সময় সড়কে চলাচলকারী বড় ধরনের যানবাহনগুলো রাস্তার উপরই ঘুরানো হচ্ছে। এতে করে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ট্রাফিক বিভাগের আইন অমান্য করে কোনো নিয়ম নীতি না মেনেই পর্যটনগামী বাসগুলোকে যত্রতত্রভাবে ঘুরানো হয় রাস্তার মধ্যে। এ সময় মজুমদারী এলাকায় সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে রাস্তার মধ্যেই ঘুরতে দেখা যায় সাদাপাথর পরিবহনের একটি বাস।
জানা যায়, প্রায় সময়ই সাদাপাথর পরিবহন ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে অবৈধভাবে রাস্তায় ঘুরপাক করায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়ক হওয়ায় এখানে পলকেই লেগে যায় যানজট। পরে ট্রাফিক পুলিশ ও সচেতন মহলের সহায়তায় যানজটমুক্ত হয়ে যানবাহন চলাচলের উপযোগি হয় সড়কটি।
এ ব্যাপারে সরকারি স্টাফ কোয়াটারের বাসিন্দা, মসজিদের মুসল্লি, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ পথচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা সব সময় এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করি। আমাদেরকে সময় মতো কর্মস্থলে পৌছাতে হয় । কিন্তু অনেক সময় যানজটে পড়ে দীর্ঘ সময় নষ্ট করতে হয়। এই এলাকায় যানজট যাতে সৃষ্টি না হয় সে জন্য ট্রাফিক পুলিশ ভাইদের কাজ করতে দেখা যায়। তবে ট্রাফিক চলে গেলেই শুরু হয় গাড়ি ঘুরানোর মহোৎসব।
এ দিকে সাদাপাথর পরিবহনের পাশাপাশি সরকারি বিআরটিসি বাস এই সড়কে দীর্ঘ দিন থেকে চলাচল করে আসছে। প্রথম অবস্থায় এই গাড়িটি রাস্তায় ঘুরপাক করলেও পরবর্তী সময়ে ট্রাফিক আইন মেনে নির্ধারিত স্থান নগরীর শাহীঈদগাহ থেকে ঘুরে আসতে দেখা যায়। ঘুরে এসে মজুমদারী থেকে যাত্রী নিয়ে ভোলাগঞ্জের উদ্যোশ্যে চলে যায়।
এ ব্যাপারে সাদাপাথর পরিবহনের সভাপতি এ.টি.এম শোয়েব এবং সিলেট, সালুটিকর, কোম্পানীগঞ্জ, ভোলাগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, হাদারপাড়, রাধানগর-বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি রিমাদ আহমদ রুবেলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করলে তাঁরা ফোন রিসিভ করেননি।
ট্রাফিকের টিআই নিখিল জীবন চাকমা বলেন, এ ধরনের অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যায়। তবে আমরা যানজট নিরসনে সব ধরনের চেষ্ঠা করে থাকি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd