হালুয়ারগাও-রহমতপুর রাস্তা নির্মান না করায় চরম দূর্ভোগে ৫ গ্রামের শিক্ষার্থীসহ ১০ হাজার মানুষ

প্রকাশিত: ৭:০৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২০

হালুয়ারগাও-রহমতপুর রাস্তা নির্মান না করায় চরম দূর্ভোগে ৫ গ্রামের শিক্ষার্থীসহ ১০ হাজার মানুষ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার হালুয়ারগাও রহমতপুর বিরামপুর পর্যন্ত রাস্তাটি মাটি ভরাট ও পাকা না থাকায় ৫ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ চরমে। স্কুল মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, মৎস্যজীবীসহ ৫ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ কষ্টভোগ করে জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার, চেয়ারম্যান ও এমপি’র কাছে বার বার গিয়েও রাস্তা নির্মান করতে পারছে না স্থানীয়রা। ফলে তারা মনে করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে উন্নয়ণ করলেও হালুয়ারঘাট থেকে রহমতপুর হয়ে বিরামপুর পর্যন্ত রাস্তাটি চোখে পড়ে না। স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক মিয়া জানান, আমরা হালুয়ারগাও, রহমতপুর, পাচকেয়ারী, বিরামপুর ও বালিকান্দি গ্রামের বাসিন্দারা বাংলাদেশের বাইরের মানুষ। আমরা যেন সরকারকে ভোট, ট্যাক্স দেই না। গত ৩০ বছর ধরে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের কাছে রাস্তাটি মেরামত করে দেয়ার অনুরোধ করেছি। তারা কথাও দিয়ে যান কিন্ত নির্বাচনে পাশ করার পর আর তাদের দেখা মিলে না। সামান্য বৃষ্টি হলে কাদার জন্য ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। কাদায় হাটু পর্যন্ত দেবে যায়। আর বৃষ্টি না হলে রোদ্রের সময় রাস্তায় ধুলার সাগরে পরিনত হয় এবং আশপাশের ঘর বাড়ীতে ধুলার কারণে শান্তিমতে ঘুমানো তো দুরের কথা খাওয়ায় যায় না। আমাদের কষ্ঠের কথা কাকে বলবো ? অবৈধ ২০-৩০ ট্রলি দিনরাত খন্দকার সাবের ইটবাটা কালো ধুয়া, ইটের কণা ও অবৈধ ট্রলির যন্ত্রনায় মানুষের নির্ঘুম রাত পোহাতে হয়। রহমতপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আলী হোসেন জানান, আমাদের রাস্তাটি সংস্কারের জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে বার বার গিয়েছি। রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় ছেলে-মেয়েরা সঠিকভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। বর্ষায় জীবনের ঝুকি নিয়ে নৌকা দিয়ে স্কুলে যেতে হয়। আমাদেরমত পোড়া কপাল বাংলাদেশের আর কোন গ্রাম আছে কিনা সন্দেহ আছে। আমরা চাই রাস্তাটি মাটি ফেলে পাকাকরণ করা হউক।

সুরমা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার ডিলার জানান, রাস্তাটি নির্মান করতে ২০-৩০ লাখ টাকা খরচ হবে। এত টাকা ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ নাই। তবে আস্তে আস্তে রাস্তটিতে মাটি ফেলে ভরাট করছি এবং স্থানীয় এমপি ৮ মে.টন চাল বরাদ্দ দিয়েছেন। এমপি’র বরাদ্দ পেলেই রাস্তার কাজ শুরু করা হবে। আশা করছি আগামী মাস থেকেই রাস্তাটির কাজ শুরু করতে পারব।
অবৈধ ট্রলি বন্ধে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন নাহার রুমা জানান, সুরমা ইউনিয়নে অবৈধভাবে চলা ট্রলিগুলো বন্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব রহমান জানান, রাস্তাটির বিষয়ে আমার জানা নেই। জনদুর্ভোগ লাগব করতে সদর উপজেলা প্রকৌশলীকে রাস্তাটি পরিদর্শন পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিবো।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..