কুয়েত প্রবাসীর বাড়িতে উপহার নিয়ে “বিপদের বন্ধু” সৈয়দ মুহিবুর রহমান

প্রকাশিত: ১২:৪২ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২০

কুয়েত প্রবাসীর বাড়িতে উপহার নিয়ে “বিপদের বন্ধু” সৈয়দ মুহিবুর রহমান

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সৈয়দ মুহিবুর রহমান মিছলু বলেন সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষদের সবাই সাহায্য করলেও বর্তমানে করোনাভাইরাস সঙ্কটে শুধুমাত্র নিম্ন আয়ের মানুষেরা নয়, অর্থ ও খাদ্য সঙ্কটে দিনযাপন করেছেন প্রবাসী এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনও।

তারা লোকলজ্জা ও সামাজিক মর্যাদাহানির ভয়ে কাউকে কিছু বলতে ও হাত পাততে পারছেন না, বর্তমানে মধ্যবিত্তদের অবস্থা নিম্ন আয়ের মানুষের চেয়েও খারাপ। গৃহবন্দী ও কর্মহীন দরিদ্রদের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি সাহায্য সহযোগিতা পৌঁছালেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মধ্যবিত্তরা সহায়তার হিসেবের বাহিরে। “গরিবরা ত্রাণ পায়, আর মধ্যবিত্তরা না খেয়ে চোখের পানি লুকায়”।

বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল সিলেট জেলা শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপশহর ব্যবসায়ী সমিতি ইএফ এর সাবেক সেক্রেটারী, বিশিষ্ট সামাজ সেবক ও সংগঠক সৈয়দ মুহিবুর রহমান মিছলু তিনি গত ১৫ মার্চ থেকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা মূলক স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনে থাকা শ্রমজীবী মেহনতী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, প্রবাসী সাময়িক অসহায় মানুষের ফোন অথবা ফেইসবুকে মেসেঞ্জারে মেসেজ পেলে ঠিকানা নিশ্চিত হয়ে বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে রাতের আঁধারে “বিপদের বন্ধু” হিসেবে খাদ্যসামগ্রী উপহার পৌছে দেন বিপদগ্রস্ত মানুষের দরজায়।

তারই ধারাবাহিকতায় তিনির একজন ফেইসবুক ফ্রেন্ড বানিয়াচং গ্রামের কুয়েত প্রবাসী, তিনি মেসেজ দিয়ে বলেন ভাই আমি কি বিপদগ্রস্ত এক পরিবারের জন্যে সহায়তা ও সহযোগিতার অনুরোধ করতে পারি? উত্তরে বললাম জ্বি ইনশা আল্লাহ, তার পর ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার দিলেন।

প্রবাসীর দেওয়া নাম্বারে ফোনে কথোপকথনের একপর্যায়ে জানতে পারি বিপদগ্রস্ত পরিবারটি উনার নিজের তখন আমার গাঁ শিউরে উঠল হতবাক হয়ে গেলাম। সাথে সাথে রাতের আঁধারে সিলেটের পূর্ব মিরা বাজারস্থ ঐ প্রবাসী ভাইয়ের বাসায় খাদ্যসামগ্রী উপহার দিয়ে আসলাম।

মানুষের সেবা করতে পদপদবি লাগে না বঙ্গবন্ধুর আদর্শ’ই যথেষ্ট উল্লেখ করে মিছলু বলেন আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য অনুসরণ করে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছি, আমি তেমন সামর্থ্যবান না, আল্লাহর রহমতে ব্যবসা বাণিজ্য করে কোনমতে চলছি, আজ প্রায় দুই মাস যাবত ব্যবসা বন্ধ তবুও যেটুকু আছে তা নিয়ে করোনা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করছি।

তিনির এই কাজ দেখে তিনির আত্মীয় উপশহর ই-ব্লক ১নং রোডের বাসিন্দা লন্ডন প্রবাসী তারেক আলী সহযোগিতির হাত বাড়িয়েছেন এবং দেশে-বিদেশে থাকা বন্ধু বান্ধবও ইতিমধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

মিছলু গত ১৫ মার্চ থেকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা মূলক বিভিন্ন কাজ করে আসছেন এবং তিনির উদ্যোগে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির স্বার্থে নগরীর শাহজালাল উপশহরের বিভিন্ন পয়েন্টে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা এবং জীবণু নাশক স্প্রে ছিটিয়ে ছেন এবং ধারাবাহিক ভাবে অসহায়দের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী উপহার মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..