গোয়াইনঘাটে জেবুন নাহার সেলিম উচ্চ বিদ্যালয়ে পকেট কমিটি, চলছে অনিয়ম-দূর্নীতি

প্রকাশিত: ১:১২ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২০

গোয়াইনঘাটে জেবুন নাহার সেলিম উচ্চ বিদ্যালয়ে পকেট কমিটি, চলছে অনিয়ম-দূর্নীতি

স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ২ নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের এডভোকেট জেবুন নাহার সেলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও এমপিও ভূক্তির বিষয়ে বিভিন্ন দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেট এর সচিব ও উপ-পরিচালক বারবর এসকল পকেট কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের দক্ষিণ প্রতাপপুরের আং মজিদের ছেলে হেলাল আহমদ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সব সময় পকেট কমিকির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। এক শ্র্রেণীর স্বার্থাস্বেষী মহল বিভিন্ন অনিয়ম করে পরিচালনা পরিচালনা করতে গিয়ে উক্ত বিদ্যালয়কে ক্ষতিগ্রস্থ করছে।

এই মহলটি বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে ভুয়া ও অবৈধ শিক্ষক প্রতিনিধি অন্তর্ভূক্ত করে সভাপতি ও নির্বাচিত কমিটি গঠন করা হয়। যা ম্যানেজিং কমিটির প্রবিধানমালা-২০০৯ মোতাবেক সম্পর্ণ অবৈধ। অথচ এই অবৈধ সভাপতি নিজেকে বৈধ করতে গোয়াইনঘাট উপজেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলামের প্ররোচনা ও সহযোগিতায় গত ২৫ জুন পত্রিকায় প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। যে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করার কোন ধরণের বৈধ ক্ষমতা বর্তমান সভাপতির নেই।

অভিযোগে প্রকাশ, বিদ্যালয়কে এমপিও ভূক্তির জন্য অন্তর্ভূক্ত করতে ভুয়া শিক্ষক ও কর্মচারী কর্মরত দেখিয়ে আবেদন করলে এই ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে সরকার ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভূক্তির অন্তর্ভূক্ত করেন। কিন্তু গত জুন মাসে এমপিও’র বেতন ছাড়ের আবেদন শুরু হলে সেই সকল ভুয়া শিক্ষকরা নিয়োগের কাগজপত্র না এমপিও ভূক্তির কোন আবেদন করেন নি। অথচ ২০১৪ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েও প্রার্থীদের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা না পাওয়ায় তৎকালীন সভাপতি শিক্ষক নিয়োগের কোন ব্যবস্থা করেন নাই। যার ফলে এই প্রতিষ্ঠানটি পকেট কমিটির কারণে ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানকে এই পকেট কমিটির কবল থেকে রক্ষা করতে এবং কমিটির সভাপতি কর্তৃক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেন হেলাল আহমদ।

অভিযোগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুলিপি করেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি, গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সচিব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সিলেট।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..