সিলেট ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: অবশেষে দীর্ঘ একমাস পর বিশ্বনাথের অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেলের বিরুদ্ধে জালিয়াতি মামলাটি রেকর্ড করেছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। বিশ্বনাথ থানার মামলা নং-০৭ তারিখ, ০৯/০৮/২০২০ইং ধারা ৪৬৭/৪৬৮/৪২০/৪৭১/৫০৬ দ: বি:। রোববার (৯ আগষ্ট) বটতলা গ্রামের মৃত জহুর আলী মিয়াজির পুত্র রুকন মিয়াজি বাদি হয়ে ৭জনের বিরুদ্ধে বিশ^নাথ থানায় পূর্বের দাখিলকৃত অভিযোগটি পূণরায় দাখিল করলে মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ফজলু মিয়ার ভাই মনোকোপা জামে মসজিদের মোতায়াল্লী নিহত মখলিছুর রহমানের পুত্র আকরাম হোসেন বাদী হয়ে অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেলকে খুনের হুকুমদাতা হিসাবে আসামী করে মামলা করেন। বর্তমানে সেই মামলায় দীর্ঘ দেড় মাস ধরে চেয়ারম্যান পলাতক রয়েছেন। যার বিশ্বনাথ থানা (মামলা নং ১৬)।
এদিকে, দোকানের মূল মালিক যুক্তরাজ্য প্রবাসি হারুন মিয়া তার দোকান জালিয়াতির মাধ্যমে রুহেল চেয়ারম্যান বিক্রি করেছেন মর্মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। গত ৭ জুলাই রুকন মিয়াজি থানায় অভিযোগ দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বড়খুরমা গ্রামের মৃত আছলম আলীর পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসি হারুন মিয়া উরফে ইরন মিয়ার পনাউল্লা বাজারের ২২নং দোকান ঘরটি বিক্রি করা হয়েছে। নাজমুল ইসলাম রুহেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে নিজে পনাউল্লা বাজার কমিটির সেক্রেটারি হয়ে সীল তৈরী করে দোকানটি নিজের নামে জাল দলিলের মাধ্যমে দখলের চেষ্টা করেন। এনিয়ে থানায় মামলা হলে হারুন মিয়ার স্বাক্ষর সঠিক কিনা তা প্রমানের জন্য ঢাকা সিআইডিতে প্রেরণ করা হয়। সিআইডির রিপোর্টে হারুন মিয়ার স্বাক্ষর জাল প্রমাণিত হওয়ায় খবর পেয়ে চেয়ারম্যান রুহেল পূণরায় আরেকটি জাল দলিল তৈরী করে দোকান ঘরটি প্রতারনা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যজনের নিকট বিক্রি করে দেন। হারুন মিয়ার লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে পূণরায় রুহেলের বিরুদ্ধে গত ৭ জুলাই থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। কিন্তু এই অভিযোগটি পুলিশ মামলা হিসেবে রেকর্ড না করায় সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রোহেল চেয়ারম্যানের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে, অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের সচীব মনির উদ্দিন বলেন, গত ১০/১২দিন ধরে চেয়ারম্যানের সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই। আমার মা মারা গেছেন এ ব্যাপারে এখন আর কিছু বলতে পারবনা।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd