মাদরাসা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে উত্তাল গোয়াইনঘাট

প্রকাশিত: ১১:২৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০২০

মাদরাসা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে উত্তাল গোয়াইনঘাট

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: গোয়াইনঘাট উপজেলার আলীরগাঁও ইউনিয়নের রাউতগ্রামে বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ায় কারণে রাস্তা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

মাদরাসা ছাত্রীর মা বলেন, জহির উদ্দিন একজন মদ্যপায়ী, জুয়ারি ও বখাটে প্রকৃতির ছেলে। আমার মেয়ে মাদরাসার ছাত্রী এবছর সে দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা দিয়ে আলেমা হবে। জেনে-শুনে, গর্ভধারিনী মা হয়ে আমার মেয়েকে কী করে জহির এর কাছে বিয়ে দিব? তাই জহিরের দেয়া বিয়ের প্রস্তাব আমরা ফিরিয়ে দেই।এর জের ধরেই সে আমাদের পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত।

ভিকটিমের মা এই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যান তিনি। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর তিনি কথা বলেন অশ্রসিক্ত নয়নে।

এ ঘটনায় ভিকটিমের মা হয়ে রাউত গ্রামের মৃত হাতীম আলীর ছেলে জহির উদ্দিন উরফে কাঁকড়া জহিরকে প্রধান আসামী করে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা (নং-০৮) দায়ের করেন।

মামলার আরও দুই আসামীরা হলেন-একইগ্রামের আব্দুল মুতলিবের ছেলে শরিফ আহমদ ও মুহাম্মদ আলীর ছেলে ইকবাল হুসাইন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন (৩ আগস্ট, সোমবার) ভিকটিমের মা মেয়েকে নিয়ে আত্মীয়ের মৃতমুখ দেখার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন রাউতগ্রাম মসজিদের নিকট পৌঁছামাত্র পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জহির ও তার সঙ্গীরা ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে নিতে একটি ঘরে আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মাদ্রাসাছাত্রীর মাকেও তারা বেধড়ক মারধর করে।

এনিয়ে জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাটসহ পুরো সিলেট জুড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন আলেম-উলামাসহ নানা শ্রেণি ও পেশার মানুষজন। এই বখাটে ও মাদক সেবীদে ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে গোয়াইনঘাটসহ বৃহত্তর জৈন্তা জুড়ে উত্তাল শুরু হয়েছে।

স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানা যায়, ঘটনার পর ভিকটিমের চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যস্ততার কারণে মামলা করতে বিলম্ব হয়।এলাকাবাসী আরও জানান, সন্ত্রাসী জহিরের কর্মকান্ডে তারা অতিষ্ঠ। অথিতে এলাকায় এরকম আরও অনেক কান্ড করছে এই ধর্ষক। ভয়ে এলাকার কেউ কোন প্রতিবাদ করেন না। কিন্তু মাদ্রাসা-ছাত্রী ধর্ষণের পর গতকাল রবিবার (৯ আগস্ট) সকাল ১০টায় সিলেট সারীঘাট-গোয়াইনঘাট সড়ক অবরোধ করে  ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে বিশাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন লেম-উলামাসহ নানা শ্রেণি ও পেশার মানুষজন।

এদিকে ওই মাদরাসা ছাত্রী শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়াতে সোমবার (১০ আগস্ট) সিলেট নগরীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আহাদ জানান, মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারে জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। অচিরেই অপরাধীদের গ্রেফতার করা হবে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..