সিলেট ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৩৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০২০
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: দীর্ঘ ৫মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে চাঙ্গা হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি। ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় লকডাউনের কারণে দেশের অন্যান্য স্থল বন্দরের মতো গত ১৯ মার্চের পর থেকে সিলেটের তামাবিল স্থল বন্দরের আমাদানি রফতানিও বন্ধ ছিল। গত কয়েক দিন ধরে স্থল বন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন এবং প্রশাসনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে কয়েকটি বিধি নিষেধ আরোপ করে স্থল বন্দরটি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন।
সিলেট তামাবিল স্থলবন্দরে সোমবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুনরায় চালু হয় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। তবে প্রথম দিন বাংলাদেশ থেকে কোন পণ্য রপ্তানি না হলেও ভারত থেকে পণ্যসামগ্রী নিয়ে বাংলাদেশে আসে ৪টি মালবাহী ট্রাক। এরমধ্যে ভারতীয় পাথরবাহী ৩টি ও ফলবাহী ১টি ট্রাক ছিলো।
তামাবিল স্থলবন্দরের কর্মকর্তা রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘ দিন পর সোমবার (১৭ আগস্ট) থেকে আমদানি-রপ্তানি চালু হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ওইদিন কোন মালবাহী ট্রাক ভারতে যায়নি। তবে ভারত থেকে ৪টি মালবাহী ট্রাক স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশ করেছে।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বন্ধ ছিলো। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় স্থল বন্দর চালু হয় স্বাস্থ্যবিধি মেনেই। বাংলাদেশ থেকে ১/২ দিনের মধ্যেই ভারতে পণ্যসামগ্রী রপ্তাতি শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তামাবিল স্থল বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সজিব মিয়া বলেন, প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দর দিয়ে ফের আমদানি রফতানি চালু হয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সতর্কতা হিসেবে স্থল বন্দর প্রশাসনের উদ্যোগে এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের সহযোগিতায় পণ্য নিয়ে আসা ভারতীয় প্রতিটি ট্রাককে স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রাকগুলো বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বাধ্যতামূলক ভাবে স্যানিটাইজ করা হবে। এছাড়াও তামাবিল ইমিগ্রেশনে নিয়োজিত মেডিকেল টিম ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার পর তাদেরকে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন সেদু জানান, র্দীঘদিন ধরে আমদানি রফতানি বন্ধ থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা বেশ বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির সম্মূখীন হয়ে পড়েছেন। শুধু ব্যবসায়ীই নন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তামাবিল স্থল বন্দর সংশ্লিষ্ট কয়েক হাজার শ্রমিক। এই স্থল বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ী এবং শ্রমিকদের পাশাপাশি বিগত পাঁচ মাসে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে ব্যবসায়ী এবং শ্রমিক মিলে এই স্থল বন্দরের উপর প্রায় ২০ হাজার মানুষ নির্ভরশীল। তাই আজ থেকে এই বন্দর দিয়ে পূণরায় আমদানি রফতানি চালু হওয়ায় এলাকার সর্বত্রই খুশির আমেজ বইছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd