গোয়াইনঘাটে ১৩জন রোগীকে ৫০হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান

প্রকাশিত: ১:৩২ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০২০

গোয়াইনঘাটে ১৩জন রোগীকে ৫০হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান

আলী হোসেন,গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি:: গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ বলেছেন, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগ এবং থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের আর্থিক সহায়তায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার বাহাদুর থ্যালাসেমিয়াসহ সকল প্রকার রোগীদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে অসহায়, দারিদ্র সুবিদাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাড়িয়ে সবসময়ই অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলছে। সোমবার দুপুর ১২টায় গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩জন রোগীর প্রত্যেককে ৫০হাজার টাকা করে মোট ৬লক্ষ ৫০হাজার টাকার চেক বিতরণনকালে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন।

চেক বিতরণকালে এসময় উপস্থিত থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুস সাকিব বলেন, সাপোর্ট সার্ভিস ফর ভালনারেবল গ্রুপ (এসএসভিজি) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিসে, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের এককালীন ৫০হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে সমাজসেবা অধিদফতর থেকে। ২০০৯ সালের আগে দেশের ৯৪টি হাসপাতাল ও ৪৯২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ কার্যক্রম পরিচালিত হতো। এবার এগুলোর সঙ্গে যোগ হলো থ্যালাসেমিয়া। সম্প্রতি সমাজসেবা অধিদফতরের মধ্যেমে ক্যান্সার, স্ট্রোকে প্যারাইলজড, কিডনি, লিভার সিরোসিস,থ্যালাসেমিয়া ও জন্মগত হৃদরোগে আক্রন্তরাও অন্তর্ভুক্ত আছে। এখানে সহায়তার জন্য ভূমিহীন, বয়োজ্যেষ্ঠ, শিশু, বিধবা, উদ্বাস্থ, বিপত্মীক ও পরিবার বিচ্ছিন্নরা অগ্রাধিকার পাবেন। একইসঙ্গে চিকিৎসাকালীন রোগীর মৃত্যু হলে তার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ তার পরিবারকে দেওয়া হবে। যারা এই সহায়তা পেতে চান, তারা বছরে একবারের বেশি আবেদন করতে পারবেন না। আবেদনের সঙ্গে অবশ্যই সকল চিকিৎসার কাগজপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মসনদ জমা দিতে হবে। এতে কোনও মিথ্যা তথ্য থাকলে সহায়তার আবেদন বাতিল বলে গন্য হবে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ আরোও বলেন, জটিল ঐসকল রোগে আক্রান্তরা সহায়তার জন্য সরাসরি উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর অথবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে বেশি বেশি করে আবেদন করুন। যত বেশি আবেদন পড়বে ততই বেশি বরাদ্দ পওয়া যাবে। তাই উপজেলার প্রত্যেক রোগীকে দ্রুত আবেদন করার অনুরোধ করছি। আপনাদের পাঠানো আবেদন যাচাই-বাছাই করে উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে পাঠানো হবে। এরপর জেলা কমিটির কাছে পাঠানো হবে অনুমোদনের জন্য। অনুমোদনের পর এই অর্থ সরাসরি রোগীর ব্যাংক হিসেবে পাঠানো হবে।

চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ আরোও জানান, ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ এবং থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত গরীব, অসহায় ১৩জন রোগীদের জন প্রতি ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা করে বাজেট প্রাপ্তি সাপেক্ষে চিকিৎসা সহায়তার প্রদান করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আক্রান্ত রোগীর পরিবারের ব্যয়ভার বহনে এবং সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সহায়তা করবে বলে মনে করি।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..