সিলেট ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:২১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রক্ষা হলো না চট্টগ্রামের মা ও শিশু হাসপাতালের। সেই বৃষ্টি এবং জোয়ারের পানিতে আবারও হাসপাতালের নিচতলা হাঁটু পানিতে জমে গেল।
সোমবার সকাল থেকেই ধীরে ধীরে হাঁটু পানিতে জমে উঠছে চট্টগ্রামের মা ও শিশু হাসপাতালটিতে। এক পর্যায়ে হাসপাতালের ভেতরে পানি থৈ থৈ করে। ফলে শিশু বিকাশ কেন্দ্র, জেনারেল ওয়ার্ড, বহির্বিভাগ ও প্রশাসনিক কার্যালয় বন্ধ করে উপরে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের সহ-সভাপতি ও সংগঠক মোরশেদ হোসেন বিডি নার্সিং২৪ কে বলেন, জোয়ারের পানিতে নিচতলা ডুবে গেছে। প্রতিদিনই দুবার করে পানি ঢুকছে। নার্সরা পানিতে ভিজে রোগীর সেবা দিচ্ছেন। রোগীদের সুরক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যেহেতু নিয়মিত এ এলাকায় পানি উঠে, তাই বর্ষা আসলে আমরা বিকল্প ব্যবস্থা করি। পানি উঠার কারণে চলাফেরায় কিছুটা সমস্যা হলেও রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য সবোর্চ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
হাসপাতালের একজন নার্স বলেন, অনেক কষ্ট করে পানিতে ভিজে রোগীর সেবা করতে হচ্ছে নার্সদের। কারণ নার্সদের রোগির সবচেয়ে কাছে গিয়ে সেবা দিতে হয়। ডাক্তাররা উপরে বসে চিকিৎসা দিচ্ছেন। কিন্তু নার্সদের রোগীর পাশে থেকে সকল সেবা দিতে হচ্ছে। এজন্য নার্সদের দুর্ভোগ কয়েকদিন বেড়েছে। তারপরও রোগির সেবায় পিছপা হননি নার্সরা।
হাসপাতালের একজন ওয়ার্ড মাস্টার বলেন, পানি ওঠার কারণে নিচতলার রোগীদের উপরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নেওয়া হয়েছে। হাঁটার জন্য উঁচু বেঞ্চ বসানো হয়েছে। নিচতলার আসবাবপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তা চৌধুরী মামুন নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, সোমবার সকালে মা ও শিশু হাসপাতালের নিজ তলাসহ আগ্রাবাদ এলাকাটি হাঁটু পানির নিচে দেখা গেছে। তাই সকাল থেকে বাসায় বসে ছিলাম। পরে বাধ্য হয়ে পানিতে ভিজে বের হয়েছি। হাসপাতালে রোগীরা অনেক কষ্টে ভেতরে ঢুকতে হচ্ছে। জোয়ারের পানিতে মূলত আগ্রাবাদ ও আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তবে সামান্য বৃষ্টি হলেই চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের নিচতলা পানিতে তলিয়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
আবহাওয়া অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীতে অস্থায়ী দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। রবিবার রাত থেকে গতকাল সোমবারও থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে নিম্নাঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এসব বৃষ্টি আরো কয়েকদিন চলতে পারে। আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে সাময়িকভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। দক্ষিণ, দক্ষিণ পূর্ব দিকে থেকে ঘণ্টায় ১২-১৫ কিলোমিটার বেগের বাতাস ৩০-৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ বলেন, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৩৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে। সাগর কিছুটা উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া নদী বন্দরে ১ নম্বর নৌ সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd