সিলেট ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৩১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলা তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দিয়েছে। অভিযুক্ত এর আগে বলাৎকারের ঘটনায় জরিমানাও গুনছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মো. অলিউল্লাহ ছোবহানী (৩৫)। তিনি আশুগঞ্জের তারুয়া জামিয়া ছোবহানীয়া মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. অলিউল্লা ছোবহানী দুই মাস পূর্বে তারুয়া গ্রামে জামিয়া ছোবহানীয়া মহিলা মাদ্রাসাটি চালু করেন। মহিলা মাদ্রাসা হওয়া সত্বেও তিনি এর সঙ্গে নিজে থাকার জন্যে একটি ঘর নির্মাণ করেন। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীকে (১৬) তার মাদ্রাসায় ভর্তি কিছুদিন পরই তিনি হেনস্তা শুরু করেন। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে ভুল বুঝিয়ে মাদ্রাসা লাগোয়া থাকার ঘরে ডেকে নিয়ে হাত-পা টিপানো এবং শরীর ম্যাসেজ করতে বাধ্য করেন। পরে তাকে এ ব্যাপারে মুখ বন্ধ রাখতে ভয়ভীতি দেখান।
গত ৯ আগস্ট অধ্যক্ষ মাদ্রাসা লাগোয়া থাকার ঘরে ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার পর ওই ছাত্রী আত্মহত্যার হুমকি দিলে তিনি বিয়ের আশ্বাস দেন। কয়েকটি ডায়েরির পাতায় বিয়ের কথাবার্তা লিখে তাতে ছাত্রীর স্বাক্ষর নেয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়ার মো. আশরাফুর রহমান, সদর উপজেলার হাবলাউচ্চ গ্রামের মো. কেফায়েত উল্লাহ ও আশুগঞ্জ যাত্রাপুর গ্রামের মো. আবুল বাশার আইয়ুবীকে ওই বিয়ের উকিল ও সাক্ষী বানিয়ে ডায়েরির পাতায় তাদের স্বাক্ষর নিয়ে ছাত্রীকে বিয়ে করা হয়েছে বলে আশ্বস্ত করা হয়।
মামলায় এই তিনজন উকিল-সাক্ষী এবং ঘটনা ধামাচাপা দিতে তৎপর অলিউল্লা ছোবহানীর পিতা আব্দুল ছোবহানকে আসামি করা হয়।
প্রসঙ্গত, অলিউল্লা ছোবহানীর বিরুদ্ধে বলাৎকারেরও অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় তার কাছ থেকে সালিশ করে জরিমানাও আদায় করা হয়। মাদ্রাসার নামে টাকা উত্তোলন করে নিজের সহায়-সম্পদ গড়ার কাজে ব্যবহার করা ছাড়াও নানা অপকর্ম করে বেড়ানোর অভিযোগ করেন এলাকার মানুষ তার বিরুদ্ধে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd