বাধা দিচ্ছে না প্রশাসন: লোভাছড়া কোয়ারী থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে পাথর পরিবহন

প্রকাশিত: ১১:৫১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২০

বাধা দিচ্ছে না প্রশাসন: লোভাছড়া কোয়ারী থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে পাথর পরিবহন

কানাইঘাট প্রতিনিধি :: কানাইঘাট লোভাছড়া পাথর কোয়ারীতে শুকনো মৌসুমে উত্তোলিত পাথরের মধ্যে সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক জব্ধকৃত ১ কোটি ঘন ফুট পাথর দ্বিতীয় দিনের মতো পাথর ব্যবসায়ীরা নৌপথে পরিবহন করে যাচ্ছেন।

গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক কোয়ারীতে আটক করে রাখা দেড় শাতাধিক পাথর বোঝাই জাহাজ ও বলগেট ভর্তি অনুমানিক ৫ লক্ষ ঘনফুট পাথর যার বাজর মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা সেই পাথর নৌপথে বিক্রির জন্য বিভিন্ন এলাকায় নেওয়া হয়। আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মতো কোয়ারী থেকে পাথর বোঝাই করে জাহাজ বলগেট নৌপথে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

জানা যায়, এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার কোয়ারী থেকে ছেড়ে যাওয়া অর্ধশতাধিক পাথর বোঝাই জাহাজ বলগেট সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের পাশে সুরমা নদীতে কোয়ারী এলাকায় জব্দকৃত রাখা পাথরের নিলামে সর্বোচ্ছ দরদাতা সিলেটের গোটাটিকর এলাকার ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম উচ্চ আদালতে তার রিট মামলা বিদ্যমান থাকা অবস্থায় সরকারের জব্দকৃত পাথর বেআইনি ভাবে পাচারের অভিযোগ এনে নৌকা গুলো আটক করে রাখেন।

এনিয়ে লোভাছড়া কোয়ারীর পাথর ব্যবসায়ী ও নজরুল ইসলামের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত পাথরবাহী নৌকা গুলো সেখানে আটক করে রাখা হয়। এক পর্যায়ে এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের র্কমর্কতারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে পরিস্তিতি শান্ত করেন।

এসময় সেখানে গভীর রাত পর্যন্ত সিলেট সিটি কর্পোরেশনের স্থানীয় কাউন্সিলার লিমন বক্স ও আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ পাথর ব্যবসায়ী ও নজরুল ইসলাম পক্ষের লোক জনের সাথে মধ্যস্থতা করেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের সুরমা নদীর ঘাট থেকে আজ শুক্রবার আটককৃত পাথর বোঝাই বাহন গুলি ছেড়ে যায় বলে জানা গেছে।

এদিকে কোয়ারীতে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক জব্দকৃত পাথর দীর্ঘ এক মাসের অধিক সময় আটকে থাকার পর ৫ জন পাথর ব্যবসায়ীর রিট মামলার প্রেক্ষিতে পাথর পরিবহন শুরু হলেও এনিয়ে ধুম্রজাল শুরু হয়েছে। রিটকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন ১৬ দিন পূর্বে উচ্চ আদালত তাদের পাথর পরিবহনের অনুমতি দিয়েছেনে।

কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের র্কমর্কতারা তাদের পাথর পরিবহনে নানা ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করে পাথর পরিবহন বন্ধ রেখেছেন। তারা বাধ্য হয়ে তাদের পাথর এখন নৌপথে পরিবহন করছেন। গত ২ দিন কোয়ারী থেকে পাথর পরিবহন করা হলেও পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন এবং উপজেলা প্রশাসন কোন ধরনের পাথর পরিবহনে বাধা নিষেধ দিচ্ছেন না। তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক এমরান হোসেন বলছেন, যেভাবে উচ্চ আদালতের নির্দেশের কথা বলে কোয়ারী থেকে জব্দকৃত পাথর নৌপথে সরবরাহ করা হচ্ছে মহামান্য উচ্চ আদালত সে ধরনের নির্দেশনা রিটকারী পাথর ব্যবসায়ীরা মানছেন না। উচ্চ আদালত সব ধরনের পাথরের মালিকানার কাগজ পত্র ডকুমেন্ট প্রদান সাপেক্ষে রিটকারীদের পাথর পরিবহনের নির্দেশনা আমাদেরকে দিয়েছেন। কিন্তু বারবার তাদের কাছে পাথরের মালিকানার কাগজ পত্র চাওয়ার পরও রিটকারী ব্যবসায়ীরা আজ পর্যন্ত আমাদের কাছে তাদরে বৈধ কাগজ পত্র বুঝিয়ে না দিয়ে পাথর পরিবহন করছেন।

পরিবহনের পাথর গুলো রিটকারী ব্যবসায়ীদের না অন্য কারও তা আমরা কিভাবে নির্ণয় করবো। কেউ যদি উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষিত করে থাকেন তা হলে আমরা সে ভাবে ব্যবস্থা নেবো।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..