সিলেট ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৫০ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পরকীয়ার কারণে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে মিলে প্রবাসফেরত জামাল হোসেনকে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন। পরে তার মরদেহ টয়লেটে ফেলে রাখেন তারা। এ ঘটনায় গ্রেফতারের পর জামালের স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবতাবুজ্জান ও কাউছার আলমের পৃথক দুটি আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এরা হলেন- নিহত জামালের স্ত্রী শারমিন আক্তার ডলি (৫০), ছেলে তানভীর হাছান ডালিম (১৮) ও মেয়ে সামিয়া বেগম (২৭)। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, গত বুধবার (২৫ আগস্ট) ভোরে ফতুল্লার দাপাইদ্রাকপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে জামাল হোসেনকে তার স্ত্রী ও সন্তানরা হত্যা করে। হত্যার পর রক্তাক্ত অবস্থায় তার মরদেহ বাথরুমে রেখে আশপাশের লোকজন ডেকে এনে স্ট্রোকে মৃত্যু দেখিয়ে দ্রুত মরদেহ দাফনের চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে নিহতের স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে আটক করা হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেন। নিহত জামাল হোসেনের দুই মেয়ে ও এক ছেলে। সন্তানদের মধ্যে দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন এবং ছেলে বাসায় থাকেন।
ওসি আরও জানান, প্রবাসফেরত জামাল হোসেনকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন স্ত্রী শারমিন আক্তার ডলি, ছেলে তানভীর হাছান ডালিম ও মেয়ে সামিয়া বেগম। পরকীয়ার কারণে পারিবারিক কলহের জেরে জামাল হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, দেড় বছর আগে জামাল হোসেন সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে আসেন। এরপর আর বিদেশে যাননি। বুধবার রক্তাক্ত অবস্থায় জামাল হোসেনকে দ্রুত দাফনের চেষ্টা করে তার স্ত্রী শারমীন আক্তার ও ছেলে-মেয়ে। বিষয়টি সন্দেহ হলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে থানায় খবর দেয়া হয়। এরপর পুলিশ এসে কাফনের কাপড়ে জড়ানো মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd