সিলেট ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৫৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০২০
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোয়াইনঘাটে ২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের অ্যাডভোকেট জেবুন নাহার সেলিম উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক, অফিস সহকারি এবং অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে পরীক্ষা বঞ্চিত শিক্ষক, সংশ্লিষ্ট পদে চাকুরী প্রত্যাশী এবং অভিভাবকদের তরফ থেকে প্রশাসনে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় গোয়াইনঘাটে তোলপাড় চলছে।
রোববার (৩০ আগস্ট) গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে এই অভিযোগ প্রদান করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উক্ত বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক, অফিস সহকারি এবং অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের জন্য ১৫ জুলাই ২০২০ইং গণ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর প্রধান শিক্ষকসহ উক্ত পদগুলোতে চাকরি প্রাপ্তির প্রত্যাশায় শতাধিক আবেদন পড়ে। এরপর প্রধান শিক্ষক এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ৩১ আগস্ট ২০২০ লিখিত পরীক্ষার সময় ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ৩১ তারিখ পরিবর্তন করে কারো মতামত না নিয়েই উক্ত প্রধান শিক্ষক, অফিস সহকারি ও অফিস সহায়ক পদে চাকরি প্রত্যাশীদের এই বিদ্যাপীঠ কিংবা গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরে নিয়োগ পরীক্ষা না নিয়ে, গোপনে সিলেটের লাক্কাতুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
অভিযোগকারীরা জানান, গোয়াইনঘাটের মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ একটি স্বার্থনেশী মহল টাকার চুক্তি করে তাদের পছন্দসই প্রার্থীদের পরীক্ষার জন্য বাছাই করে পরীক্ষায় পাঠিয়েছেন। এতে যোগ্য মেধাবী শিক্ষক ও অন্যান্য পদের চাকরি প্রত্যাশীরা বঞ্চিত হয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক পদে পদ প্রত্যাশী আজিজুর রহমান জানান, আমি অ্যাডভোকেট জেবনু নাহার সেলিম উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সেরেছি। আমাদের জানানো হয়েছিল ৩১ আগস্ট ২০২০ইং পরীক্ষা নেয়া হবে। কিন্তু আমাদের না জানিয়েই তড়িগড়ি করে তাদের পছন্দসই প্রার্থীদের বাছাই করে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য সিলেটের লাক্কাতুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। উক্ত বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে ইতিপূর্বে গণমাধ্যমসমূহে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গোয়াইনঘাটের মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধেও ইতিপূর্বে নানা অনিয়মের অভিযোগের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। অনতি বিলম্বে বিতর্কিত এই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় প্রধান শিক্ষকসহ সৃষ্ট পদে নিয়োগের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর পক্ষে স্মারক লিপিতে স্বাক্ষর করেছেন নিকুঞ্জ নাথ, মো. শাহ আলম, আজিজুর রহমান, চঞ্চল শর্মা, রিপন মুন্ডাসহ অগণিত স্থানীয় জনসাধারণ।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd